গালওয়ানে সংঘর্ষের পর এক অফিসার সহ ১৫ চিনা জওয়ানকে আটক করেছিল ভারতীয় সেনা
এর আগে, চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র তরফেও ১০ ভারতীয় জওয়ানকে আটক করার দাবি করা হয়েছিল
নয়াদিল্লি: লাদাখে ভারত-চিন সংঘর্ষ নিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ। সোমবার সংঘর্ষের পর এক অফিসার সহ ১৫ চিনা সেনা জওয়ানকে হেফাজতে নিয়েছিল ভারত। আলোচনার পর তাঁদের ছাড়া হয়।
এর আগে, চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র তরফেও ১০ ভারতীয় জওয়ানকে আটক করার দাবি করা হয়েছিল। বেজিংয়ের তরফে জানানো হয়, আলোচনার মাধ্যমে আটক হওয়া ১০ ভারতীয় জওয়ানকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিন, ভারতের তরফেও জানানো হল, সংঘর্ষের পর ১৫ চিনা সেনা জওয়ান এপারে আটক হয়েছিল। আটক হওয়া জওয়ানদের মধ্যে এক চিনা অফিসারও ছিল বলে জানানো হয়েছে। পরে, আলোচনার পর ওই ১৫ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ভারতীয় বাহিনীর ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায় চিনা ফৌজ। হামলা চালানো হয় পেরেক ও কাঁটাতার লাগানো কাঠের তক্তা, রড, পাথর। এই হামলায় এক সামরিক কর্নেল সহ ২০ জন ভারতীয় জাওয়ানের মৃত্যু হয়। গত ৪৫ বছরে এটিই সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ছিল।
ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, ওই সময় ভারত ও চিনা ফৌজের অনুপাত ছিল যথাক্রমে ১:৫। শুধু তাই নয়, চিনারা থার্মাল ইমেজিং ড্রোনের মাধ্যমে রাতের অন্ধকারে ভারতীয় জওয়ানদের খুঁজে বের করে বর্বরোচিত হামলা চালায়।
তবে, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী সর্বদল বৈঠকে বলেন, গালওয়ানে কোনও অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি, ভারতীয় ভূখণ্ড বেদখলও হয়নি। মোদি বলেন, লাদাখে চিনা অনুপ্রবেশ হয়নি, কোনও সেনাচৌকিও দখল হয়নি। বরং যারা ভারতের দিকে চোখ তুলে তাকিয়েছিল, তাদের উচিত শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।
এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধতে ছাড়েনি বিরোধীরা। রাহুল গান্ধী ট্যুইটারে লিখেছেন, চিনা আগ্রাসনের কাছে ভারতীয় ভূখণ্ড সমর্পণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যদি ওই ভূখণ্ড চিনেরই হয়, (১) তাহলে কেন আমাদের সেনাদের মরতে হল? (২) কোথায় তাঁদের মারা হল?
সংকীর্ণ রাজনীতি করবেন না বলে লাদাখকাণ্ডে রাহুলকে পাল্টা তোপ অমিত শাহর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ট্যুইট, একজন বীর সেনা জওয়ানের বাবার মন্তব্যই রাহুল গাঁধীকে সুস্পষ্ট বার্তা। যখন গোটা দেশ ঐক্যবদ্ধ, তখন রাহুল গাঁধীর উচিত, সংকীর্ণ রাজনীতি ছেড়ে দেশের স্বার্থে পাশে থাকা।