Pahalgam Incident: পহেলগাঁও হামলার জের, আটারি সীমান্তে আটকে বরযাত্রী, সুরাহা কি মিলবে ?
Cross Border Wedding: চার বছর রাজস্থানের শৈতান সিংয়ের বাগদান হয়েছিল পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের কেসর কানওয়ারের সঙ্গে। এতদিনে অবশেষে পাওয়া গিয়েছিল ভিসা। কিন্তু দুলহনকে আনতে যাওয়ার আগেই আটকে গেল বারাত।

Pahalgam Incident: চার বছর আগে সেরেছিলেন বাগদান। এবার বিয়ে করতে যাওয়ার কথা ছিল পড়শি দেশে। কিন্তু 'বিবির মুলুকে' যাওয়ার আগেই আটারি সীমান্তে আটকে গেল বরযাত্রী। এতদিন ধরে কষ্ট করে অবশেষে পাওয়া গিয়েছিল ভিসা। কিন্তু পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার পর আটারি সীমান্ত বন্ধ করেছে ভারত সরকার। আর তার জেরেই বিপদে পড়েছে রাজস্থানের এক পরিবার। 'ক্রস-বর্ডার ওয়েডিং' অর্থাৎ সীমানা পার করে বিয়ে-শাদি করা এতদিন সুবিধার থাকলেও, এবার পহেলগাঁও হামলার পর থেকে দেখা দিয়েছে গুরুতর সমস্যা। কারণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে আটারি সীমান্ত।
রাজস্থানের শৈতান সিংয়ের বাগদান হয়েছিল পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের কেসর কানওয়ারের সঙ্গে। চার বছর আগে বাগদানের পর থেকেই ভিসা জোগাড়ের জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন শৈতানের পরিবারের সদস্যরা। অবশেষে এতদিনে পাওয়া গিয়েছে ভিসা। অথচ পাকিস্তানে যাওয়ার উপায় নেই। ৩০ এপ্রিল পাকিস্তানের অমরকোটে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল শৈতান এবং কেসরের। সেই মতোই আটারি সীমান্তে 'বারাত' নিয়ে পৌঁছেছিলেন শৈতান সিং। কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারেন নতুন নিয়মের কথা। আটারি-ওয়াঘা সীমানা পেরোতে দেওয়া হয়নি ওই পরিবারের সদস্যদের।
#WATCH | Amritsar | Surinder Singh from Rajasthan, who was scheduled to visit Pakistan today for a family wedding, says, "I was going to Pakistan today for my brother's wedding, but it will be postponed now. My grandmother and her four sons stay in Pakistan, and her one son stays… pic.twitter.com/Irm80PcC9s
— ANI (@ANI) April 24, 2025
বারমের জেলার ইন্দ্রোই গ্রামের বাসিন্দা শৈতান জানিয়েছেন, দীর্ঘ সময় ধরে ওই বিশেষ দিনটার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি এবং তাঁর পরিবার। এবছর ১৮ ফেব্রুয়ারি ভিসা পেয়েছিলেন পরিবারের কয়েকজন। শৈতান, তাঁর বাবা এবং ভাইয়ের ভিসা হয়েছিল পাকিস্তান যাওয়ার। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তবে মিলেছে এই ভিসা। মেয়াদ রয়েছে ১২ মে পর্যন্ত। ততদিনে যদি সরকারের তরফে আশানুরূপ কোনও বার্তা পাওয়া যায়, এখন সেই আশাতেই বুক বেঁধেছেন শৈতান এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা। শৈতানের ভাই সুরেন্দ্র জানিয়েছেন, এই ঘটনায় দুই পরিবারের লোকজনই উদ্বিগ্ন হয়ে রয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন যে পাকিস্তান থেকে অনেক আত্মীয়স্বজনও এসে গিয়েছিলেন বিয়ে উপলক্ষ্যে। তাঁদেরও ফিরে যেতে হয়েছে। 'আমরা সবাই খুব মুষড়ে পড়েছি। জঙ্গি হামলায় অনেক ক্ষতি হয়। সম্পর্ক নষ্ট হয়। সীমান্ত সচল থাকে না,' বলছেন শৈতানের ভাই সুরেন্দ্র। শৈতানের কথায়, 'জঙ্গিরা যা করেছে ভুল। বিয়েতে বাধা পড়েছে। কী করা যাবে? এটা সীমান্তের ব্যাপার।'






















