ওই ওষুধে তিনি দুর্বল হয়ে পড়েন, হাঁটতে চলতেও পারতেন না, বলেছেন টমের স্ত্রী
গায়িকা জানিয়েছেন, করোনা উপসর্গের পর তাঁকে ম্যালেরিয়ার ওষুধ ক্লোরোকুইন দেওয়া হয়
নয়াদিল্লি: টম হ্যাঙ্কস ও তাঁর স্ত্রী রীতা উইলসন করোনা আক্রান্ত। এই খবর গোটা বিশ্বে সুনামি নিয়ে এসেছিল। গত মাসেই তাঁদের টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। রিতা এখন ৬০ বছরের স্বামী টমকে নিয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়ছেন। রয়েছেন কোয়ারেন্টিনে। করোনা উপসর্গ নিয়ে রীতা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, সেই সময় তাঁর খুব ক্লান্ত মনে হচ্ছিল। শরীরে ব্যথা হত এবং কাউকে ছুঁতে দিতে চাইতেন না তিনি। এত শৈত্য তিনি এর আগে কখনও অনুভব করেননি। ধীরে ধীরে রীতা অনুভব করতে শুরু করেন তাঁর মুখের স্বাদ হারিয়ে যাচ্ছে এবং তিনি ক্রমশ বোধশক্তিও হারাচ্ছেন।
গায়িকা জানিয়েছেন, করোনা উপসর্গের পর তাঁকে ম্যালেরিয়ার ওষুধ ক্লোরোকুইন দেওয়া হয়। তিনি সুস্থ হয়েছেন। তবে ক্লোরোকুইনের কারণেই ব্যাধিমুক্ত হয়েছেন বলে তিনি মনে করেন না। নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি জানি না ওষুধ কাজ করেছে কিনা, তবে জ্বর থেমে গিয়েছিল। তবে ক্লোরোকুইনের মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে।” ক্লোরোকুইন খেয়ে তাঁর বমি পেত, এমনকি মাথাও ঘুরত। ওই ওষুধের কারণে তিনি দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন এবং হাঁটতে চলতেও পারতেন না। তাই গায়িকার পরামর্শ, “ওষুধ নেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। আমরা এখনও জানি না এটা আদৌ এই রোগে কাজ করছে কিনা। ওর (টম হ্যাঙ্কস) আগে কখনও এমন জ্বর হয়নি। ও নিজেপ স্বাদ, বোধও হারায়নি। তবে আমাদের ২ জনেরই ওই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে একই সময় লেগেছে।”