Iran-Israel Conflict: বিদেশের মাটিতে ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা? ইরানের দাবি ঘিরে শোরগোল, নতুন করে হুঁশিয়ারি ‘শত্রুপক্ষ’কে
Iran Weapon Factories: ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদে এই দাবি করেছেন।

নয়াদিল্লি: পরমাণু চুক্তি নিয়ে চাপ বাড়াচ্ছে আমেরিকা। নতুন করে একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞাও চাপানো হয়েছে। সেই আবহেই বড় ঘোষণা ইরানের। তারা জানাল, নিজের দেশে নয়, বিদেশে অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তুলেছে তারা। এক নয়, একাধিক দেশে তাদের অস্ত্র কারখানা রয়েছে। ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধপরিস্থিতির পর দু’মাসও কাটেনি। তার মধ্যেই এই ঘোষণা ইরানের। (Iran-Israel War)
ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদে এই দাবি করেছেন। ইরানের Young Journalist Club-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিদেশের মাটিতে অস্ত্র কারখানা গড়ে তোলার কথা জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনের উপর সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছে দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী। (Iran Weapon Factories)
ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের উপক্রম হওয়ার পর সামরিক কৌশল বদলে গিয়েছে বলেও জানান নাসিরজাদে। তাঁর কথায়, “ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর আমাদের লক্ষ্য বদলে গিয়েছে। বেশ কিছু দেশে অস্ত্র কারখানা গড়ে তুলেছি আমরা। তবে এখনই নাম জানাব না।” ঠিক কোন কোন দেশে অস্ত্র কারখানা গড়েছেন, তা যদিও খোলসা করেননি নাসিরজাদে। তবে আগামী দিনে ধীরে ধীরে সব সামনে আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত এক বছরে অত্যাধুনিক এবং ম্যানুভারেবল, দুই ধরনের ওয়ারহেড তৈরির কথা জানিয়েছেন নাসিরজাদে। বৃহস্পতিবারই ভারত মহাসাগরের উত্তরে, ওমান উপসাগরে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে ইরানের নৌবাহিনী। একমাস আগে রাশিয়ার সঙ্গে কাস্পিয়ান সাগরে মহড়াও দেয় তারা। ফলে ইরানের গতিবিধি নিয়ে নতুন করে চিন্তা বাড়ছে আমেরিকা ও ইজরায়েলের।
Islamic Republic of Iran's Defense Minister Aziz Nasirzadeh:
— NoctuMind (@var_ya_da_yok) August 22, 2025
🔸 We have tools that have not yet been used in the war. [probably not yet publicly released]
🔸We have new missiles with advanced warheads that we did not use in the 12-day war. pic.twitter.com/NgTIWo5UDa
১৯৭৯ সাল থেকে ইরানের উপর যে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে রেখেছে আমেরিকা, তাতে অত্য়াধুনিক সমরাস্ত্র সেভাবে জুটিয়ে উঠতে পারেনি তারা। পুরনো প্রযুক্তি ও দেশীয় নকশার উপর নির্ভরশীল হয়েই কাজ চলছে। কিন্তু তার পরও সম্প্রতি ইজরায়েলের সঙ্গে যে যুদ্ধপরিস্থিতি দেখা দেয়, তাতে একেবারে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই দেখা গিয়েছে। নাসিরজাদের দাবি, যুদ্ধ ১৫ দিন ধরে চললেও তাঁদের ক্ষেপণাস্ত্রে আঘাত হানতে সফল হতো না ইরান।
নাসিরজাদের দাবি, তাঁদের কাছে ১২০০ কিলোমিটার দূরত্বের যে Qassem Basir ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, ইজরায়েলের বিরুদ্ধে তা ব্যবহারই করা হয়নি।তাতেই ইজরায়েল যুদ্ধবিরতির জন্য আমেরিকার দ্বারস্থ হয়। তাঁর কথায়, “গোড়ায় আমাদের ৪০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র ধের ফেলে ওরা। কিন্তু শেষ দিকে ৯০ শতাংশই একেবারে লক্ষ্যে গিয়ে পড়ছিল। এতেই বোঝা যায়, আমাদের অভিজ্ঞতা বাড়ছিল, ওদের সামরিক শক্তি কমছিল।”
যদিও ইজরায়েলের দাবি, ১২ দিনের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই তারা প্রতিহত করতে সফল হয়। গত ১৩ জুন ইরানের শীর্ষ কমান্ডার এবং পরমাণু বিজ্ঞানীকে লক্ষ্য় করে প্রথম ইজরায়েল হামলা চালায়। ইরানের বায়ুসেনা ঘাঁটি, পরমাণু কেন্দ্রেও হামলা চালানো হয়। ইরানের দাবি, ইজরায়েলি হামলায় ১০৬২ জন মারা যান, যার মধ্যে ৭৮৬ জন সেনাকর্মী এবং ২৭৬ জন নিরীহ নাগরিক ছিলেন। পাল্টা ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইজরায়েলে ৩১ জন মারা যান বলে খবর মেলে। শেষ পর্যন্ত আমেরিকার মধ্যস্থতায় ২৪ জুন যুদ্ধবিরতি ঘটে দুই দেশের মধ্যে।
সেই থেকে ইরানকে পরমাণু অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণে রাজি করানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। কিন্তু সেই আবহেই কার্যত বোমা ফাটালেন নাসিরজাদে। শুধু তাই নয়, হুঁশিয়ারির সুরে তিনি জানিয়েছেন, 'শত্রুপক্ষ' তাঁদের ঘাঁটালে ফল ভাল হবে না। সেক্ষেত্রে এমন অস্ত্র বের করবেন, যা আগে কখনও যুদ্ধক্ষেত্রে সামনে আসেনি। আর তাতেই নতুন করে উত্তেজনা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।






















