Israel Palestine War: '১৪ সালের রেকর্ড ভেঙে গাজায় নিহতের সংখ্যা ২হাজার ৩২৯, ইরানের হামলার আশঙ্কা ইজরায়েলের
রবিবার গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়ে দিল, গত ৮ দিনে ইজরায়েলের হামলায় একচিলতে ভূখণ্ডে ২ হাজার ৩২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিসংখ্যানের নিরিখে ২০১৪ সালের রেকর্ডও ভেঙে দিল এবারের মৃত্যুমিছিল।
সৌমিক সাহা, তেল আভিভ: হইহই করে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে চড়ছে তীব্রতর হামলার হুঙ্কার। রবিবার গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়ে দিল, গত ৮ দিনে ইজরায়েলের হামলায় (Israel Palestine War) একচিলতে ভূখণ্ডে ২ হাজার ৩২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিসংখ্যানের নিরিখে ২০১৪ (Israel Palestine War Of 2014) সালের রেকর্ডও ভেঙে দিল এবারের মৃত্যুমিছিল। সে বার ৫১ দিনের যুদ্ধে ২ হাজার ২৫১ জন প্যালেস্তিনীয় মারা যান, জানাচ্ছে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয় সংক্রান্ত দফতর। এবার মাত্র ৮ দিনেই এই অবস্থা। এর মধ্যে রবিবার, ইজরায়েলি সেনা চরম তোড়জোড় শুরু করেছে গাজা সীমান্তে। তবে কি গাজায় ভূপথে হামলার প্রহর আসন্ন?
আশঙ্কার নানা ছবি...
আশঙ্কা রয়েছে ইজরায়েলেরও। লেবাননের পর ইরানও হামলা করতে পারে, আশঙ্কায় রয়েছে তেল আভিভ। তাদের ধারণা, সিরিয়ার মাধ্যমে হামলা চালানো হতে পারে। ক্ষয়ক্ষতির সংখ্য়া যে তাদের দিকেও নেহাত কম নয়, সেটি বার বার দাবি করেছে ইজরায়েল। অন্য দিকে, গাজার তরফে জানানো হচ্ছে, গত কাল অর্থাৎ শনিবার যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে তাতে অন্তত ৩০০ জনের প্রাণ যায়। এদের বেশিরভাগই মহিলা ও শিশু। সব মিলিয়ে, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৩ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। একাংশের দাবি, এর মধ্যে গাজায় গ্রাউন্ড অপারেশন শুরু করে দিয়েছে ইজরায়েল। চূড়ান্ত প্রত্যাঘাতের অপেক্ষায় গাজা সীমান্তে অপেক্ষায় ইজরায়েলের ট্যাঙ্ক রেজিমেন্ট।
আর যা...
সম্প্রতি গাজার উত্তর অংশের বাসিন্দাদের উদ্দেশে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের বার্তা ছিল, দ্রুত দক্ষিণের দিকে সরে যান। এদিন তাঁরা আরও এক বার জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টার মধ্যে গাজার উত্তরাংশের বাসিন্দাদের এলাকা ছেড়ে যেতে হবে। এই জন্য একটি রুটও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে ইজরায়েল। যদিও হামাসের তরফে প্যালেস্তিনীয়দের বলা হচ্ছে, কোনও অবস্থাতেই যেন নিজেদের ভিটেমাটি না ছাড়েন তাঁরা। ইজরায়েলি সেনার তরফে এমনও দাবি করা হচ্ছে যে, নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ঘর ছেড়ে পালাতে থাকে গাজার বাসিন্দাদের বাধা দিচ্ছে হামাস। এই সংক্রান্ত ছবিও প্রকাশ করেছে তারা। তবে তাতে যে তেল আভিভ নিজের পরিকল্পনা থেকে একচুলও নড়বে না, সেটা স্পষ্ট। গাজার সীমান্তে ঘন ঘন নজরদার ড্রোনের চক্কর, হেলিকপ্টারের আওয়াজ, কাতারে কাতারে সেনাবাহিনী জড়ো হওয়া-সব থেকে এটা স্পষ্ট এবার একেবারে সুস্পষ্ট দিকে অভিযান করতে চলেছে তারা। থেমে নেই হামাসও। গত কাল রাতে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ের সঙ্গে দেখা করেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ান। আন্তর্জাতিক মহলের আশঙ্কা, এমনিতেই গাজার পরিস্থিতি শোচনীয়। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের তরফে জানানো হয়েছে, সেখানে খাদ্যসামগ্রীর যা ভাঁড়ার ছিল তা ফুরিয়ে আসার পথে। এদিকে ইজরায়েলের অবরোধের ফলে নতুন করে খাদ্যসামগ্রী তারা জোগাড় করতে পারেনি। এর মধ্যে ইজরায়েলের ভূপথে হামলা পুরোপুরি শুরু হলে কী হবে? চিন্তা বাড়াচ্ছে পেন্টাগনের পদক্ষেপ। পূর্ব ভূমধ্যসাগরে আরও একটি যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে তারা। উড়ে যাওয়ার কথা একাধিক বোমারু উড়োজাহাজেরও।
আরও পড়ুন:আমস্টারডামে 'চন্দ্রযানে' দেবীর আবাহন, আয়োজনে আনন্দধারা