Twitter CEO Steps Down : পদত্যাগ করলেন ট্যুইটারের সিইও, দায়িত্বে এলেন পরাগ আগরওয়াল
Twitter CEO Steps Down : পদত্যাগ করলেন মাইক্রো ব্লগিং সাইট ট্যুইটারের সিইও জ্যাক ডরসি। কোম্পানির নতুন দায়িত্বে এলেন পরাগ আগরওয়াল। এই খবর নিজেই ট্যুইট করেছেন ডরসি।
নয়াদিল্লি: পদত্যাগ করলেন মাইক্রো ব্লগিং সাইট ট্যুইটারের সিইও জ্যাক ডরসি। কোম্পানির নতুন দায়িত্ব সামলাবেন পরাগ আগরওয়াল। নিজেই সেই খবর ট্যুইট করে জানিয়েছেন ডরসি। ২০১৫ সালে ট্যুইটারের সিইও -র দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। সেই থেকে এই মাইক্রো ব্লগিং সাইটকে সাফল্যের মুখ দেখিয়েছিলেন ডরসি। তাঁর পদত্যাগ নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে CNBC। সূত্রের খবর বলে এই রিপোর্ট সামনে এনেছে তারা। ট্যুইটার ও স্কোয়ার (ডিজিটাল পেমেন্ট সংস্থা)-র সিইও পদ সামলাচ্ছিলেন ডরসি।
ডরসির জায়গায় নিয়োগ করা হয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরাগ আগরওয়ালকে। সোমবার ট্যুইটারের তরফে জানানো হয়েছে, সিইও পদে না থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানির বোর্ডে থাকবেন ডরসি। ২০২২ সাল পর্যন্ত কাজের মেয়াদ অনুযায়ী বোর্ডে থাকবেন তিনি।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরাগের কেরিয়ারগ্রাফ বলছে, ২০১১সালে ট্যুইটারে কাজ শুরু করেন তিনি। সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টের চিফ টেকনোলজি অফিসার (CTO) হিসাবে নিয়োগ করা হয় তাঁকে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত টানা এই দায়িত্ব সামলান পরাগ। চিফ টেকনোলজি অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালনের সময় তাঁক মাইক্রো ব্লগিং প্লাটফর্মের টেকনিক্যাল স্ট্র্যাটেজি, মেশিন লার্নিং, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের সম্পর্কে খুঁটিনাটি জানতে হয়। প্রযুক্তিগত দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি তাঁকে গ্রাহক ও আয়-ব্যায় ও সায়েন্স টিমের সঙ্গেও কাজ করতে হয়। যা পরাগকে সমৃদ্ধ করে। কোম্পানির ট্যুইটার লিডারশিপ পেজেই রয়েছে পরাগ সম্পর্কে এই নথি।পরাগের অতীত বলছে, IIT Bombay থেকে কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি.টেক করেছিলেন তিনি।পরবর্তীকালে পিএইচডি করেন আমেরিকার স্ট্যান্ডফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে।
এদিক ট্যুইটারের সিইও-র দায়িত্ব পরাগের হাতে যাওয়ায় মুখ খুলেছেন সদ্য প্রাক্তন সিইও জ্যাক ডরসি। এক বিবৃতিতে ডরসি বলেছেন, ''ট্যুইটারের সিইও হিসাবে পরাগকে আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি। গত ১০ বছরে ধরে ও যে কাজ করছে তা 'ট্রান্সফরমেশনাল'। এবার সময় হয়েছে ওর নেতৃত্ব দেওয়ার।'' তবে ডরসি পরাগকে সিইও পদে নিয়োগ করতেই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে ভোলেননি এই 'ইন্ডিয়ান-আমেরিকান'। বিবৃতিতে পরাগ বলছেন, ''সারা বিশ্ব এখন আগের থেকে অনেক বেশি আমাদের দিকে দেখছে। আজকের এই খবর নিয়ে বহু মানুষের মনে নানা ধারণার জন্ম হয়েছে। আমাদের খবর নিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গিও আলাদা। কারণ তাঁরা ট্যুইটার ও তার ভবিষ্যতের বিষয়ে চিন্তা করেন। তাদের এই চিন্তা আমাদের কাছে একটা সংকেত। আমরা যাই করি না কেন তা তাদের একটা বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এবার দেখিয়ে দিন ট্যুইটারের পুরো ক্ষমতা !"