Jagdeep Dhankhar : ইস্তফার রাতেই গোছগাছ শুরু করে দেন, শীঘ্রই উপ রাষ্ট্রপতির বাসভবন খালি করে দিতে চলেছেন ধনকড় ?
Vice President's Resignation : বছর ৭৪-এর ধনকড় ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে উপ রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০২৭ সাল পর্যন্ত তাঁর কার্যকাল ছিল।

নয়াদিল্লি : উপ রাষ্ট্রপতির জন্য বরাদ্দ বাসভবন শীঘ্রই খালি করে দিতে চলেছেন জগদীপ ধনকড়। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে সূত্রের খবর, যেদিন ইস্তফা দেন সেই রাতেই গোছানোর কাজ শুরু করে দেন প্রাক্তন উপ রাষ্ট্রপতি। যদিও সরকারিভাবে গতকাল তাঁর ইস্তফা গৃহীত হয়। ওই সূত্রেই খবর, জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছিলেন বিরোধী দলের একাধিক নেতা। কিন্তু, সেই অনুরোধ গ্রহণ করতে পারেননি তিনি। গতকাল দেখা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন সঞ্জয় রাউত ও শরদ পাওয়ার। কিন্তু, তাঁরাও কোনও সময় পাননি বলে খবর।
বছর ৭৪-এর ধনকড় ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে উপ রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০২৭ সাল পর্যন্ত তাঁর কার্যকাল ছিল। গত বছর এপ্রিল মাসে পার্লামেন্ট হাউস কমপ্লেক্সের কাছে চার্চ রোডে নবনির্মিত ভাইস প্রেসিডেন্ট এনক্লেভে গিয়ে ওঠেন। এই ভিপি এনক্লেভে উপ রাষ্ট্রপতির বাসভবন ও অফিস। সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রোজেক্টে এটি তৈরি করা হয়। প্রায় ১৫ মাস সেখানে বসবাস করার পর, এবার এই বাসভবন ফাঁকা করে দিতে হবে প্রাক্তন উপ রাষ্ট্রপতিকে।
২০২৭ সালে উপ রাষ্ট্রপতি হিসাবে মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল জগদীপ ধনকড়ের। কিন্তু, দু'বছর আগে আচমকাই ইস্তফা দিলেন তিনি। তাও আবার সারাদিন রাজ্য়সভা পরিচালনা করার পর, হঠাৎই রাতে ঘোষণা করলেন স্বাস্থ্যের কারণে তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন। কিন্তু হঠাৎ করে এমনটা কীভাবে সম্ভব! রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, মোদি সরকারের সঙ্গে সংঘাত চরমে ওঠাতেই কি উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে আচমকা পদত্য়াগ করতে বাধ্য় হলেন জগদীপ ধনকড় ? সূত্রের দাবি, দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি যশবন্ত ভার্মা, যাঁর বাড়ি থেকে প্রচুর টাকা উদ্ধার হয়েছিল, তাঁর ইমপিচমেন্ট ঘিরে ধনকড়ের ভূমিকায় সন্তুষ্ট ছিল না সরকারের শীর্ষ নেতৃত্ব। দিল্লির রাজনৈতিক অলিন্দে জল্পনা, বিচারপতি ভার্মার ইমপিচমেন্টের বিষয়টিকে রাজনৈতিক ভাবে ‘ব্যবহার’ করতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তাতে কার্যত জল ঢেলে দেন ধনকড়।
সোমবার বিচারপতির অপসারণের দাবিতে রাজ্য়সভায় বিরোধীদের তরফে একটি প্রস্তাব জমা পড়ে। চেয়ারম্যান হিসাবে ধনকড় তা গ্রহণ করে উচ্চকক্ষের সেক্রেটারি জেনারেলকে পাঠান। সূত্রের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করেই রাজ্য়সভায় বিরোধীদের নোটিস গ্রহণ করে নেন জগদীপ ধনকড়। যা ভালভাবে নেয়নি সরকার। এরপর সোমবারই বেলা দেড়টা নাগাদ, রাজ্যসভার বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠক ছিল। সেখানে সভাপতিত্ব করেন জগদীপ ধনকড়। বিরোধীদের পাশাপাশি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু এবং রাজ্যসভার নেতা ও বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা। কিন্তু ১০ মিনিটেই বৈঠক শেষ হয়ে যায়।
বিকেল সাড়ে চারটেয় ফের বৈঠক ডাকেন ধনকড়। সূত্রের দাবি রিজিজু এবং নাড্ডাকে না জানিয়েই একই দিনে দ্বিতীয়বার বিজনেজ অ্য়াডভাইজারি কমিটির বৈঠক ডাকার ধনকড়ের সিদ্ধান্তকেও ভালভাবে নেয়নি সরকার। নির্ধারিত সময়ে জগদীপ ধনকড়-সহ বাকিরা উপস্থিত হলেও, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু কিংবা জে পি নাড্ডা কেউই আসেননি।






















