এক্সপ্লোর
Advertisement
Babul Supriyo: তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে? জিতেন্দ্রর বিজেপিতে যোগদান ঠেকানোর চেষ্টা করবেন, বললেন বাবুল
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, জিতেন্দ্র বুঝতে পারছেন, তৃণমূল এখন অতীত। তাঁর ভবিষ্যত সম্ভবত বিজেপিতেই। তাই একদা ঘোর রাজনৈতিক শত্রু বাবুলের এহেন মন্তব্যের পরও তিনি নরম।
কলকাতা: দলত্যাগের হিড়িক তৃণমূল কংগ্রেসে। একই দিনে দল ছাড়লেন সাম্প্রতিক জল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা শুভেন্দু অধিকারী ও জিতেন্দ্র তিওয়ারি। শুভেন্দু দলের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক চুকিয়ে বিজেপির পথে পা বাড়িয়েছেন বলে খবর। সূত্রের দাবি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আসন্ন বাংলার সফরেই গেরুয়া শিবিরে যোগ দিচ্ছেন নন্দীগ্রামের অবিসংবাদী নেতা। কিন্তু জিতেন্দ্র কী করবেন? তাহলে কি এবার তিনিও বিজেপির পথে? সে বিষয়ে ধোঁয়াশা বজায় রেখে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক বলেছেন, এবার কোর্টে যাব, আমি আমার স্ত্রী দু’জনেই উকিল। আর তার মধ্যেই নতুন ট্যুইস্ট। জিতেন্দ্রর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনায় জল ঢেলে দিতে চেয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বাবুল আসানসোলের দু’বারের সাংসদ। আসানসোলের রাজনীতিতে বাবুল ও জিতেন্দ্র দুই মেরুর বাসিন্দা। আসানসোলে তৃণমূলের সর্বেসর্বা জিতেন্দ্র বরাবরই বাবুলের জেতার পথে কাঁটা বেছানোর চেষ্টা করেছেন। আর এখন যখন সেই জিতেন্দ্ররই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা, তখন তাৎপআর্যপূর্ণ ট্যুইটে বাবুল বলেছেন, আসানসোলে তৃণমূল নেতাদের বিজেপিতে আনতে মধ্যস্থতা করেছি বলে যারা গুজব রটিয়েছে, তারাই এখন বিজেপিতে ঝাঁপ দিতে চাইছে! আসানসোলে বিজেপি কর্মীদের ওপর যে তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে অত্যাচার চলেছে, তাকে যেন দলে না নেওয়া হয় এই চেষ্টা আমি করব। জিতেন্দ্র বিজেপির লোকজনকে মেরেছেন বলেও অভিযোগ বাবুলের।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, জিতেন্দ্র বুঝতে পারছেন, তৃণমূল এখন অতীত। তাঁর ভবিষ্যত সম্ভবত বিজেপিতেই। তাই একদা ঘোর রাজনৈতিক শত্রু বাবুলের এহেন মন্তব্যের পরও তিনি নরম। দলত্যাগী তৃণমূল নেতা বলেছেন, হ্যাঁ, বাবুলের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ। তৃণমূলের প্রধান হিসাবে অনেক কাজ করতে হয়েছে। বাবুলের লোকজন আমার নামে অভিযোগ করেছে। গত লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম বর্ধমান জেলার ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রেই এগিয়ে বিজেপি। জিতেন্দ্র যে পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক, সেখানেও ৬ হাজার ২১ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বিজেপি।
এদিন জিতেন্দ্র দল ছাড়েন রীতিমতো নাটকীয় উত্তেজনার মধ্য়ে। প্রথমে বলেন, দলটাকে তিলে তিলে তৈরি করেছি, পদে না থেকেও দলের কাজ করব। কলকাতার নেতারা চান না আমি দলে থাকি, এমন মন্তব্যেও করেন। আধ ঘণ্টার মধ্যে আরও বদলে যায় ছবিটা। প্রথমে আসানসোলের পুর প্রশাসকের পদ ছাড়েন, আধ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূল ছাড়েন পশ্চিম বর্ধমানের দলীয় জেলা সভাপতি তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক।
স্মার্ট সিটি ইস্যু নিয়ে হঠাৎই পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক চিঠি দিয়ে বিতর্কে জড়ান জিতেন্দ্র। বাগযুদ্ধ হয় দুজনের। সূত্রের দাবি, বুধবারই তাঁকে ফোন করে কলকাতায় বৈঠকের জন্য আসতে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, দলনেত্রীর ফোনের কিছুক্ষণের মধ্যে সবাইকে চমকে দিয়ে পূর্ব বর্ধমানের বিদ্রোহী তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে হাজির হন জিতেন্দ্র। আর সেখানে তখন শুভেন্দুও হাজির। এতেই ছবিটা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে শুরু করে। আরও স্পষ্ট করে শুভেন্দুর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, মমতার পর শুভেন্দু সবচেয়ে জনপ্রিয়। ওকে দলের নম্বর টু করে দিন মমতা! এরপর সাংবাদিক বৈঠকের ঘণ্টাখানেকের মধ্যে জিতেন্দ্র অভিযোগ করেন, তাঁর পাণ্ডবেশ্বরের অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে! তাই তিনি তৃণমূল ছাড়ছেন! বলেন, ঠিক করেছিলাম দিদির সঙ্গে কথা বলে ঠিক করব, আধঘণ্টা আগে পাণ্ডবেশ্বরে বিধায়ক কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে, দলের কলকাতার নেতারা করিয়েছেন, তারা চান না আমি দলে থাকি, এরপর আমি সমস্ত পদ ছেড়েছি। শুক্রবার মমতার সঙ্গে বৈঠকেও যে যাবেন না, তাও স্পষ্ট করে দেন তিনি। পাল্টা তাঁকে বিশ্বাসঘাতক বলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
খুঁটিনাটি
Advertisement