Joe Biden: কিউবা আর 'সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক' নয়! হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে ট্রাম্পকে অস্বস্তিতে ফেললেন বাইডেন
Cuba Terrorism Tag: এই চুক্তিতে ভ্যাটিকানের বড় ভূমিকা রয়েছে।
ওয়াশিংটন: হোয়াইট হাউস ছাড়তে আর এক সপ্তাহও বাকি নেই, তার আগে বিদেশনীতি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। পড়শি দেশ কিউবাকে 'সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক' দেশের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। এমনি এমনি যদিও এই সিদ্ধান্ত নেননি বাইডেন। এর পরিবর্তে তাদের দেশে রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে জেলে থাকা কয়েকশো মানুষকে মুক্তি দেবে কিউবা। সেই মর্মেই চুক্তি হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। (Joe Biden)
এই চুক্তিতে ভ্যাটিকানের বড় ভূমিকা রয়েছে। জানা গিয়েছে, ৫৫৩ জন রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেবে কিউবা। এর আগে, ট্রাম্প কিউবার উপর যে সব নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল, হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে সেগুলি শিথিল হতে চলেছে অনেকটাই। ফলে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় বার আমেরিকার মসনদে বসার আগেই দুই দেশের সম্পর্কে এমন সন্ধিক্ষণ উপস্থিত হল। শেষ বার বারাক ওবামার আমলে দুই দেশের সম্পর্কে কিছুটা অগ্রগতি চোখে পড়েছিল। (Cuba Terrorism Tag)
কিউবার প্রতি বরাবর কট্টর অবস্থান নিতে দেখা গিয়েছে ট্রাম্পকে। তাঁর আমলেই আমেরিকার সরকার কিউবা-কে 'সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক' দেশ হিসেবে চিহ্নিত করে। বাইডেনের সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া যদিও জানাননি ট্রাম্প। তবে আমেরিকার সেনেটর মার্কো রুবিও-কে বিদেশসচিব হিসেবে মনোনীত করেছেন মার্কো কিউবা থেকে আসা শরণার্থী পরিবারের সন্তান হলেও, কিউবার বরাবরের সমালোচক তিনি। কিউবার উপর আরও নিষেধাজ্ঞা চাপানোর পক্ষে সওয়ালও করেছেন।
শুধু তাই নয়, এই সিদ্ধান্তের ফলে ২০১৭ সালে তৎকালীন ট্রাম্প সরকারের চাপানো আরও কিছু নিষেধাজ্ঞাও শিথিল হয়ে যাবে। কিউবার সঙ্গে যোগ থাকা সামরিক এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনে যে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিলেন ট্রাম্প, তাও আর কার্যকর থাকবে না বলে জানিয়েছেন আমেরিকার এক প্রশাসনিক মহলের এক শীর্ষ আধিকারিক। কিউবা এবং অন্য বিদেশি সংস্থার বিরুদ্ধে চাইলেই যে কোনও ব্যক্তি মামলা দায়ের করতে যাতে না পারেন, তার সপক্ষেও সুপারিশ জানিয়েছেন বাইডেন। আমেরিকার কংগ্রেস অনুমোদন দিলেই, সেগুলি কার্যকর হয়ে যাবে। তবে ট্রাম্প চাইলে ফের রদবদল ঘটাতে পারেন।
ফিদেল কাস্ত্রোর বিপ্লবের পর ২০২১ সালের ১১ জুলাই আচমকাই পরিস্থিতি তেতে ওঠে কিউবায়। দাঙ্গার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলেন শত শত মানুষ। তাঁদের ধরে ধরে জেলে ঢোকানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই সময় বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন-সহ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, আমেরিকা কিউবার সমালোচনা করে। সেই বন্দিদেরই মুক্তি দেওয়া হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ২০২১ সালে, প্রথম দফার একেবারে শেষ লগ্নেই কিউবার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপান ট্রাম্প। কিউবা আন্তর্জাতিক স্তরে সন্ত্রাসে মদত জুগিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। যদিও কিউবা অভিযোগ অস্বীকার করে।