লাভ জিহাদ বিরোধী আইন সমর্থন, ধর্ষণকারীদের প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝোলানোর নিদান কঙ্গনার
দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে লাভ জিহাদ বিরোধী অর্ডিন্য়ান্স জারি করে উত্তরপ্রদেশ। যোগী রাজ্যের রাজ্য়পাল আনন্দিবেন প্য়াটেল অর্ডিন্য়ান্স জারি করেন। এর মাধ্যমে লাভ জিহাদ বিরোধী আইন কার্যকর হয় উত্তরপ্রদেশে।
নয়াদিল্লি: লাভ জিহাদ বিরোধী আইনকে সমর্থন করে এবার মুখ খুললেন কঙ্গনা রানাউত। যে কোনও সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়েই নিজের মত প্রকাশ করেন অভিনেত্রী। আর তাতে একাধিকবার বিতর্কেও জড়িয়েছেন তিনি। গত মাসেই লাভ জিহাদ বিরোধী আইন পাশ করেছে উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশ সরকার। তাকেই এবার সমর্থন জানালেন কঙ্গনা। শুধু তাই নয়, ধর্ষণে অভিযুক্তদের প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে লাভ জিহাদ বিরোধী অর্ডিন্য়ান্স জারি করে উত্তরপ্রদেশ। যোগী রাজ্যের রাজ্য়পাল আনন্দিবেন প্য়াটেল অর্ডিন্য়ান্স জারি করেন। এর মাধ্যমে লাভ জিহাদ বিরোধী আইন কার্যকর হয় উত্তরপ্রদেশে। গত মাসে লাভ জিহাদে বিরোধী আইনে সম্মতি দিয়েছিলেন মধ্য প্রদেশ মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রিসভায় পাশ হল লাভ জিহাদ বিল। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে কোনও মহিলা বা সংখ্যালঘুদের জোর করে ধর্মান্তর করলে ২ থেকে ১০ বছর জেল হবে।
আগে একাধিকবার লাভ জিহাদ বিরোধী আইনের দাবি জানিয়েছেন বলি অভিনেত্রী। এই আইন সম্পর্কে কঙ্গনা বলেন, এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইন। অনেকে এর আগে সমস্যায় পড়েছেন। এতে উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য, ওয়াজিদ খানের স্ত্রী কমলরুখ খান অভিযোগ করেন, মুসলিম হতে বাধ্য় করেছিল খানর পরিবার। প্রয়াত মিউজিক কম্পোজারের স্ত্রী বলেন, আমি পার্সি ছিলাম। ওয়াজিদ ছিল মুসলিম। বিশেষ বিবাহ আইনে বিয়ে হয় আমাদের। কিন্তু বিয়ের পর ধর্ম পরিবর্তনের জন্য অত্যাচার হত বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
একইসঙ্গে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে দেওয়ার কথা বলেন অভিনেত্রী। কঙ্গনা বলেন, অভিযুক্তরা বোঝা চাপিয়ে দেয়। অর্ধেক অভিযুক্ত অধরাই থেকে যায়। সৌদির মতো বিভিন্ন দেশে প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় অপরাধীকে।