Kahsmir Attack: 'ভাইয়ের মতো ছিল, একসঙ্গে ক্রিকেট খেলেছি, এই শক ভুলতে পারছি না', পহেলগাঁওয়ের হামলায় মণীশকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ বন্ধু আদিত্য
Kashmir News: মণীশ রঞ্জনের বন্ধু আদিত্য শর্মা বলছেন, 'আমার পক্ষে এমন শক হয়ে গেল, ভুলতে পারছি না। ভাইতুল্য বন্ধু ছিল। একসঙ্গে মাঠে ক্রিকেট খেলেছি। যে ঘটনা ঘটেছে কড়া নিন্দা করছি।'

স্ত্রী, সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে কাশ্মীর বেড়াতে গিয়েছিলেন পুরুলিয়ার ঝালদার বাসিন্দা মণীশ রঞ্জন। পেশায় তিনি আইবি অফিসার। কর্মরত ছিলেন হায়দরাবাদে। অন্যান্য পর্যটকদের মতোই পহেলগাঁওয়ের কাছে বৈসারণ-মিনি সুইৎজারল্যান্ডে ঘুরতে গিয়েছিলেন এই গোয়েন্দা আধিকারিক। আর সেখানেই শেষ হয়ে গেল সব। ছুটিতে কাশ্মীর ঘুরতে যাওয়ার আনন্দ মুহূর্তে পরিণত হল হাহাকারে। জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছেন মণীশ। আর এই খবর ঝালদার বাড়িতে পৌঁছোতেই নেমেছে শোকের ছায়া। মর্মান্তিক খবর পেয়ে ছুটে এসেছে পাড়া-প্রতিবেশী বন্ধুরা। সকলেই বিধ্বস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু বাঁধ মানছে না কারও চোখের জল। মণীশের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তাঁর বন্ধুরাও। কথা বলতে গিয়ে গলা বুঁজে আসছে কান্নায়। কখনও বা কণ্ঠস্বরে ঝরে পড়ছে ক্ষোভ, উষ্মা।
মণীশ রঞ্জনের বন্ধু আদিত্য শর্মা বলছেন, 'আমার পক্ষে এমন শক হয়ে গেল, ভুলতে পারছি না। ভাইতুল্য বন্ধু ছিল। একসঙ্গে মাঠে ক্রিকেট খেলেছি। যে ঘটনা ঘটেছে কড়া নিন্দা করছি। দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। লজ্জাজনক ঘটনা। কেন্দ্রীয় সরকারের করা পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ। এভাবে যদি পর্যটক, আমার বাড়ির ছেলে এরকম ঘটনার শিকার হয়, সেটা দেশের জন্য লজ্জার ঘটনা। ওখান থেকে আতঙ্কবাদ সাফাই হোক। এভাবে দেশ চলবে না।'
মণীশ রঞ্জনের ভাই বিনীত রঞ্জন মিশ্র জানিয়েছেন, সম্ভবত ১৫ তারিখ দিল্লি থেকে প্রথমে অযোধ্যা এবং তারপর অযোধ্যা থেকে শ্রীনগর গিয়েছিলেন মণীশ। তাঁর ভাইদেরও যাওয়ার কথা ছিল। দিল্লি থেকে কাশ্মীর যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু তাঁরা ফিরে এসেছিলেন। বিনীত জানিয়েছেন, মণীশের পহেলগাঁও থেকে বৈষ্ণোদেবী যাওয়ার কথা ছিল। আর তাঁদের এদিক থেকে বৈষ্ণোদেবী যাওয়ার কথা ছিল। বিনীত এও জানিয়েছেন, দাদা-বৌদি, দুই সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন। মণীশের স্ত্রীই কারও ফোন থেকে বাড়িতে খবর দেন। বিনীত এও জানিয়েছেন, হরিদ্বারে থাকাকালীন ফোন করেছিলেন মণীশ। শ্রীনগর পৌঁছেও মেসেজ করেছিলেন।
মণীশ রঞ্জনের আরেক বন্ধ মণীশ আগরওয়াল বলেছেন, 'আমার বন্ধু ছিল। খুব ভাল মানুষ। আগে আমরা একসঙ্গেই থাকতাম। প্রায় পাশাপাশি বাড়ি ছিল আমাদের। যা হয়েছে তা একেবারেই ঠিক নয়। আতঙ্কবাদের এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সবচেয়ে ভাল যা উপায়, তা ধারাবাহিক ভাবে বজায় রাখা উচিৎ। এমন নয় যে ঘটনা ঘটল, তারপর অ্যাকশন নেওয়া হল। ধারাবাহিক ভাবে এই পদ্ধতি চালু থাকলে তাহলে হয়তো ধীরে ধীরে সমস্যা কমবে।'






















