কড়া ব্যবস্থা নিতেই হাতেনাতে মিলল ফল, ওভারলোডেড গাড়ি কমল ৩৫ শতাংশ
ওভারলোডেড লরির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাড়ানো হয়েছে জরিমানার পরিমাণ। ফল মিলল হাতেনাতে। এক ধাক্কায় আইনভাঙা গাড়ির সংখ্যা কমল ৩৫ শতাংশ।
সুমন ঘড়াই ও সোমনাথ মিত্র, কলকাতা: ওভারলোডেড লরির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে পরিবহণ দফতর। বাড়ানো হয়েছে জরিমানার পরিমাণ। আর এই কড়া ব্যবস্থা নিতেই ফল মিলল হাতেনাতে। ওভারলোডেড গাড়ির সংখ্যা কমাতে জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হয় দশ গুণ। আর এর ফলেই এক ধাক্কায় আইনভাঙা গাড়ির সংখ্যা কমল ৩৫ শতাংশ।
অভিযোগ কী? সরকারি অনুমতি যতটা আছে, তার থেকে অনেক বেশী পরিমাণ সামগ্রী নিয়ে ছুটে চলে একাধিক লরি বা ট্রাক। কলকাতা সহ রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই এমন ছবি প্রায়ই দেখতে পাওয়া যায়। এর জেরে যেমন দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ে, তেমনই বোঝাই লরির অতিরিক্ত চাপে ক্ষতি হয় রাস্তারও। অনেক চেষ্টাতেও এই সমস্যার সমাধান হচ্ছিল না। তাই এই সমস্যা দূর করতে সম্প্রতি জরিমানার পরিমাণ বেশ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় পরিবহণ দফতর। পয়লা অগাস্ট থেকে ওভারলোডেড গাড়িতে জরিমানা ২ হাজার টাকা থেকে দশ গুণ বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। আবার একই লরি যদি দ্বিতীয় বার ধরা পড়ে, তাহলে ওভারলোডিংয়ের জন্য জরিমানার পরিমাণ করা হয়েছে ৪০ হাজার টাকা।
জরিমানা বাড়ানোর পাশাপাশি কড়া নজরদারিও শুরু করেছে পরিবহণ দফতর। বিভিন্ন জায়গায় চেকিং পয়েন্টে পরীক্ষা করা হচ্ছে গাড়ি। এক লরি চালকের কথায়, 'ওভারলোডিং ছিল, তাই জরিমানা করেছে। মালিককে কাগজ পাঠিয়েছি।'
পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, নতুন নির্দেশিকা কার্যকর হওয়ার পর অগাস্টের প্রথম ২ সপ্তাহে জরিমানা থেকে আয় হয়েছে সাড়ে ৬ কোটি টাকা। পাশাপাশি তিন সপ্তাহের মাথায় ওভারলোডেড গাড়ির সংখ্যা ৩৫ শতাংশ কমেছে।
পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কথায়, 'জরিমানা শূন্য হোক এটাই চাই। তবে অপরাধ যে কমছে এটাই সরকারের লাভ।'
নবান্ন সূত্রে খবর, 'ওভারলোডেড গাড়ির চলাচল কমায় আগের তুলনায় রাস্তা খারাপও হচ্ছে কম। ফলে রাস্তা মেরামতিতে খরচও কমছে।' আগামী দিনে চেকিং পয়েন্টগুলিতে তল্লাশি আরও জোরদার করা হবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।