কলকাতায় জলাশয় ভরাটের অভিযোগ, ওসির বিরুদ্ধে FIR-এর হুঁশিয়ারি
সংশ্লিষ্ট জোনের পুলিশ যদি ব্যবস্থা না নেয় তবে সেই থানার ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবে কলকাতা পুরসভা।
কলকাতায় জলাশয় ভরাটের অভিযোগ। যার প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট থানার ওসির বিরুদ্ধে এফআইআর করা হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কড়া বার্তা, জলাশয় ভরাট করা হলে, সেই জমিতে কোনওভাবেই নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হবে না।
যে কোনও ওয়ার্ডে পুকুর বা জলাশয় অবৈধ ভাবে ভরাট করা হলে, সংশ্লিষ্ট জোনের পুলিশ যদি ব্যবস্থা না নেয় তবে সেই থানার ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবে কলকাতা পুরসভা। জলাভূমি সংরক্ষণে মুখ্যমন্ত্রীর নীতি এর আগেও স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন, আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক নাবালককে গ্রেফতার করল দিনহাটা থানার পুলিশ
এর আগেও তিনি জানিয়েছিলেন এলাকায় পুকুর ভরাট হচ্ছে। অথচ পুলিশ জানে না তা তো হয় না। বেআইনি বাড়ি থেকে পুকুর ভরাট বন্ধ করার দায়িত্ব আইন পুলিশকেই দিয়েছে। তাই থানার ওসিকেই সক্রিয় থাকতে হবে। এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখতে কলকাতা পুরসভার পুর কমিশনারকে নির্দেশও দেওয়া হয়। কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় জলাশয় ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে অনেকদিন ধরেই। জলাভূমি ও পরিবেশ সংরক্ষণের দায়িত্ব পুলিশকেই নিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, বাঁকুড়া শহরের সৌন্দর্যায়নের লক্ষ্যে পুরসভা গ্রিন সিটি প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, এই প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। শহরকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে বাঁকুড়া পুরসভা ২০১৯ সালে উদ্যোগ নিয়েছিল গ্রিন সিটি প্রকল্পের। বাঁকুড়া শহরের রাস্তার দুই ধারেই হকাররা ব্যবসা করতেন।
আরও পড়ুন, 'সবুজের পথে হাতছানি', পুজোয় পর্যটক টানতে উদ্যোগ উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের
সৌন্দর্যায়নের লক্ষ্যে বেশ কিছু গাছ রাস্তার ধারে লাগানো হয়েছিল। নগর উন্নয়ন দপ্তরের তরফ থেকে গ্রিন সিটি প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল। প্রায় ২ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা ফেন্সিং ও বেশ কয়েকটি পার্কে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু এরপরও শহরের রাস্তাঘাট হকারমুক্ত হয়নি।