Rampurhat Firing: 'গুজরাতে রাজধর্ম পালন শেখাতে হয়েছিল, এখন জ্ঞান দিচ্ছেন', রামপুরহাট নিয়ে মোদিকে কটাক্ষ কুণালের
Rampurhat Firing: বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে মহিলা, শিশু-সহ আট জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে মুখ খুলেছেন নরেন্দ্র মোদিও।
কলকাতা: বগটুইয়ের ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা চরমে (Rampurhat Firing)। রাজ্যের বিরোধী শিবিরের নেতৃত্ব তো বটেই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Narendra Modi) এ নিয়ে সরব হয়েছেন। দোষীদের ক্ষমা না করার আর্জি জানিয়েছেন বগটুইবাসীর কাছে। সেই পরিস্থিতিতে মেদিকে গুজরাত-দাঙ্গা পর্ব মনে করিয়ে দিলেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে মহিলা, শিশু-সহ আট জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের মৃত্যুর পরই এই ঘটনায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন বিরোধীরা। তা নিয়ে বিজেপি, বাম, কংগ্রেস একযোগে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলতে দেখা গিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীকেও।
মোদিকে গুজরাত দাঙ্গা স্মরণ করালেন কুণাল
সেই পরিস্থিতিতে টুইটারে এ নিয়ে মুখ খোলেন কুণাল। তিনি লেখেন, ‘রামপুরহাট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ওই দু’চার কথা প্রসঙ্গে— ১) যাঁরা ৩৫৬ বা নানা ভাবে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের কথা বলছেন, তাঁদের জন্য মুখরক্ষার সান্ত্বনা পুরস্কার।২) গুজরাত দাঙ্গার পর সেখানকার যে মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁরই দলের প্রধানমন্ত্রীকে ‘রাজধর্ম’ শেখাতে হয়, তিনি এখন জ্ঞান দিচ্ছেন?’
রামপুরহাট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ওই দু'চার কথা প্রসঙ্গে-
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) March 23, 2022
1) যাঁরা 356 বা নানাভাবে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের কথা বলছেন, তাদের জন্য মুখরক্ষার স্বান্ত্বনা পুরস্কার।
2) গুজরাটের দাঙ্গার পর সেখানকার যে মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁরই দলের প্রধানমন্ত্রীর 'রাজধর্ম' শেখাতে হয়, তিনি এখন জ্ঞান দিচ্ছেন?
আরও পড়ুন: Rampurhat Fire: 'মুখ্যমন্ত্রীর এলে ইনসাফ চাইব, না পেলে সিবিআই তদন্ত', বলছেন বগটুইয়ের শোকার্তরা
বগটুই নিয়ে সমালোচনার মধ্যে এমন মন্তব্য করে ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার প্রসঙ্গ মোদিকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন কুণাল। সেই সময় গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মোদি। দাঙ্গায় তাঁর সরকাররে ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে ছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে তখন গুজরাতে ছুটে যেতে হয় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারি বাজপেয়ীকে। সেখানে মোদিকে পাসে বসিয়ে রাজধ্রম পালনের নির্দেশ দেন তিনি। মোদির উদ্দেশে বাজপেয়ীর সেই মন্তব্য মাঝেমধ্যেই উঠে আসে বিরোধীদের মুখে। কুণআলও সেই পথেই হাঁটলেন।