Buddhadeb Bhattacharjee Health: বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শারীরিক অবস্থার অবনতি, ভর্তি করা হল হাসপাতালে
তাঁর অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৮০-৮২ তে নেমে যায়, বলে জানান চিকিৎসকরা
কলকাতা: আচমকা শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে।
সূত্রের খবর, গতকাল রাত থেকে অবস্থার অবনতি হতে থাকে। আজ সকালে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৮০-৮২ তে নেমে যায়, বলে জানান চিকিৎসকরা। এরপর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে আর বাড়িতে না রেখে হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিত্সকরা। ডাকা হয় অ্যাম্বুল্যান্স।
জানা গিয়েছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। সূত্রের খরব, তাঁকে আইসিইউ-তে রেখে পর্যবেক্ষণ করবেন চিকিৎসকরা।
করোনা আক্রান্ত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের গত কয়েকদিন ধরে বাড়িতেই চিকিত্সা করা হচ্ছিল। অক্সিজেন স্যাচুরেশনের সমস্যা থাকায় তাঁকে বাইপ্যাপ দেওয়া হচ্ছিল। সূত্রের খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সিওপিডি সমস্যা রয়েছে।
তবে, তাঁর চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গিয়েছিল, তিনি চিকিত্সায় সাড়া দিচ্ছিলেন। তাঁর অক্সিজেনের মাত্রাও স্বাভাবিক ছিল। বাড়িতেই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল।
এমনকী, গতকালও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা সুচেতনা জানিয়েছিলেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। কিন্তু গতকাল রাত থেকে আচমকা শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিত্সকরা আর তাঁকে বাড়িতে রেখে চিকিত্সার ঝুঁকি নিলেন না।
এদিন অ্যাম্বুল্যান্সে করে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে নিয়ে যাওয়া হয় উডল্যান্ডস হাসপাতালে। সেখানে ৩১৩ নম্বর কেবিনে ভর্তি রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
উডল্যান্ডস হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চিকিত্সায় ৬ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে. তাঁর সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য দিনকয়েক আগে করোনায় আক্রান্ত হন। শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেওয়ায় মীরা ভট্টাচার্যকে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল থেকে গতকালই ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। তাঁকে আগামী ৭ দিন হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন ভাল আছেন।
সাম্প্রতিক অতীতেও অসুস্থ হয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। চিকিৎসাও চলছিল তাঁর। ব্রিগেডে দেখা যায়নি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। এমনকি শারীরিক কারণে এ বছর ভোটও দিতে পারেননি তিনি। বাইরে বেরনোর অনুমতি পাননি চিকিৎসকদের থেকে।
কয়েকমাস আগে শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন তিনি। সেই সময়ও তাঁর কোভিড পরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু সেই সময়ে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেই সময় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল বেশ কয়েকদিন। পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি।