Buddhadeb Bhattacharjee Health: স্থিতিশীল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, অবস্থার উন্নতি স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যর
গতকাল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে
কলকাতা: করোনা আক্রান্ত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। গতকাল করোনা পজিটিভ হওয়ার পর থেকে বাড়িতেই চিকিৎসা চলছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যও কোভিড ১৯ পজিটিভ। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিন হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, ‘বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা চলছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। বাইপ্যাপের সাহায্যে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯০%-র বেশি রয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থার ওপর নজর রাখছেন চিকিৎসকরা।
পাশাপাশি, তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ‘প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। জ্বর ও ব্যথা সামান্য কমেছে মীরা ভট্টাচার্যর। সাপোর্ট ছাড়াই শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা সন্তোষজনক।’
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ‘রেডিও ডায়াগনসিসে জানা গেছে মীরা ভট্টাচার্যের ফুসফুসে বিশেষ কোনও সমস্যা নেই। স্যালাইনের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড।
সূত্রের খবর, বেশকিছুদিন ধরেই বুদ্ধদেব এবং তাঁর স্ত্রীর কিছু উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। প্রথমে করোনা সংক্রমিত হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শরীরেও করোনার বেশ কিছু উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়। এরপরেই তাঁকে করোনা পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
গতকাল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা ও জ্বর থাকায় ভর্তি করা হয়েছে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মীরা ভট্টাচার্যকে।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর অ্যাটেডেন্টও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, বহুদিন ধরেই অসুস্থ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। চিকিৎসাও চলছিল তাঁর। ব্রিগেডে দেখা যায়নি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। এমনকি শারীরিক কারণে এ বছর ভোটও দিতে পারেননি তিনি। বাইরে বেরনোর অনুমতি পাননি চিকিৎসকদের থেকে।
কয়েকমাস আগে শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন তিনি। সেই সময়ও তাঁর কোভিড পরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু সেই সময়ে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেই সময় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল বেশ কয়েকদিন। পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি।