Corona Vaccination Update: নিজের আবাসনেই ভ্যাকসিনেশনের ব্যবস্থা করলেন সাউথ সিটির বাসিন্দারা
কার্যত লকডাউন পর্বে যখন বাড়ি থেকে বেরোনোর উপায় নেই, তখন নিজেদের কমপ্লেক্সের মধ্যে ভ্যাকসিনেশনের সুযোগ পাওয়ায় খুশি আবাসিকরা।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: হাসপাতালে যখন ভ্যাকসিন নেওয়ার ভিড়, তখন নিজেদের কমপ্লেক্সের মধ্যে ভ্যাকসিন নিলেন সাউথ সিটির বাসিন্দারা। ৪১০ জন ১৮ ঊর্ধ্ব পেলেন কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ। ভ্যাকসিনেশনের উদ্বোধন করেন স্থানীয় বিধায়ক দেবাশিস কুমার।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বারবার ভ্যাকসিনেশনে জোর দেওয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু ভ্যাকসিনের টানাটানির জের সরকারি থেকে বেসরকারি হাসপাতালে বেড়েছে বিশৃঙ্খলা। এই প্রেক্ষাপটে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের সাউথ সিটি আবাসনে শুরু হল ভ্যাকসিনেশন। আবাসন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ফর্টিস হাসপাতালের তরফে ১৮ উর্ধ্বদের দেওয়া হয় কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ।
কোভিশিল্ডের পর আগামী সপ্তাহে কোভ্যাক্সিনের ডোজও দেওয়া হবে এই আবাসনে। কার্যত লকডাউন পর্বে যখন বাড়ি থেকে বেরোনোর উপায় নেই, তখন নিজেদের কমপ্লেক্সের মধ্যে ভ্যাকসিনেশনের সুযোগ পাওয়ায় খুশি আবাসিকরা।
ভ্যাকসিনের অভাবের জেরে রাজ্যে এতদিন বন্ধই ছিল প্রথম ডোজের টিকাকরণ। রাজ্যের তরফে আগে রীতিমতো নির্দেশ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, শুধুমাত্র দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিনেশন হবে। তারপর জানানো হয়েছিল ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কাসদেরও টিকাকরণ শুরু করা হবে।
এর মাঝে এক মাসের কাছাকাছি সময় কেটে গিয়েছে, রাজ্যের তরফেও ভ্যাকসিনের জোগাড় বাড়ানো হয়েছে এই পর্বে। কিছুদিন আগেই কলকাতা পুরসভা জানিয়েছিল, ফের একবার প্রথম ডোজের টিকাকরণের কাজ শুরু হতে চলেছে ১৮ ঊর্ধ্বদের জন্য।
গত ১ মে থেকে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু ভ্যাকসিনের অভাবে পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের একাধিক রাজ্যেই যে প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। তারপর কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ১৮ ঊর্ধ্বদের ভ্যাকসিনেশনের ব্যবস্থা করে নিতে হবে নির্দিষ্ট রাজ্যকেই। যার পর বিভিন্ন কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত পর্ব চলেছে ভ্যাকসিন ঘিরে। যা এখনও অব্যাহত।
এর মাঝেই দেশ ও রাজ্যজুড়ে আস্তে আস্তে কমছে করোনার গ্রাফ, এই অবস্থায় দ্রুত টিকাকরণের কাজে জোর দিলে তবেই কোভিডযুদ্ধে বিজয়ী হওয়া যাবে বলেই বারবার জানিয়েছে চিকিৎসকমহল।