![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
‘দুয়ারে রেশন’ নয়, ‘দোকানে রেশন’-এর দাবি জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রীকে চিঠি ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের
‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পে আপত্তির কথা জানিয়ে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিল জয়েন্ট ফোরাম অফ রেশন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন।
![‘দুয়ারে রেশন’ নয়, ‘দোকানে রেশন’-এর দাবি জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রীকে চিঠি ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের Dealers Association's letter to Food Minister demanding 'ration at shops', not 'ration at door' ‘দুয়ারে রেশন’ নয়, ‘দোকানে রেশন’-এর দাবি জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রীকে চিঠি ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/10/18/c9b918bb48ea694f6337bba36412e964_original.jpeg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
ঋত্বিক মণ্ডল, কলকাতা: ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পে আপত্তির কথা জানিয়ে এবার খাদ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিল জয়েন্ট ফোরাম অফ রেশন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন। দুয়ারে নয়, চালু করা হোক, ‘দোকানে রেশন’ প্রকল্প। আবেদন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের। জোর করে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হলে দোকান বন্ধের হুঁশিয়ারি। আবেদন খতিয়ে দেখা হবে, বললেন খাদ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, 'ভোটে জিতে এলে ঘরে ঘরে রেশন পৌঁছে দেব'। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো সেপ্টেম্বর মাস থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়ে গিয়েছে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের পাইলট প্রজেক্ট। সম্প্রতি শুরু হয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ের পাইলট প্রজেক্টও।
আর এই প্রেক্ষাপটে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পে আপত্তির কথা জানিয়ে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিল জয়েন্ট ফোরাম অফ রেশন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন। দুয়ারে নয়, সংগঠনের তরফে ‘দোকানে রেশন’ চালুর আবেদন করা হয়েছে সরকারের কাছে।
বিধানসভা ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, আর দোকানে যেতে হবে না। সরকারই নাগরিকের বাড়িতে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেবে। ভোটে জিতে সরকার গঠনের পর ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের পাইলট প্রজেক্টও শুরু হয়ে যায়।
রাজ্যে এই মুহূর্তে ২০ হাজার ২৬৮টি রেশন দোকান রয়েছে। রেশন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, প্রত্যেক দোকানে দু’জন করে কর্মী রয়েছেন। এই কর্মী সংখ্যা নিয়ে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প বাস্তবায়িত করা প্রায় অসম্ভব। ১৪ অক্টোবর রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে,
দুয়ারে নয়, দোকানে রেশন দিতে আমরা বদ্ধপরিকর এবং জোর করে, আতঙ্কিত করে, ভীত সন্ত্রস্ত পরিবেশ তৈরি করে, এই কাজ করতে বাধ্য করালে, আমাদের পক্ষে একান্তই নিরুপায় হয়ে রেশন পরিষেবা থেকে সরে দাঁড়াতে, দয়া করে বাধ্য করবেন না।
অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতে এত সংখ্যক মানুষকে বাড়ি গিয়ে রেশন দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা বলছি, দুয়ারে নয়, দোকানে আসুন। আমাদের বলা হয়েছে দ্বিতীয় পাইলট প্রজেক্ট শুরু হয়েছে। জোর করে ওরা বলছে হয়েছে। এটা যদি বন্ধ না করে, তাহলে রেশন দোকান বন্ধ করে দিতে হবে। সেটা মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি।
খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, ওরা বলেছে ওদের সমস্যার কথা। আমরাও দেখছি কী করা যায়। নভেম্বর পর্যন্ত দেখব। কিছু ডিলার শুরু করছেন না। অনেক ডিলার আবার করছেন। এসব কিছুই মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে। মঙ্গলবার এ নিয়ে ফের বৈঠকে বসছেন রাজ্যের রেশন ডিলাররা।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)