Amazon: শহরে অ্যামাজনের নামে ভুয়ো কল সেন্টার-প্রতারণা, পুলিশের জালে ১১ কর্মী
একাধিক কম্পিউটার, টেলিফোন এবং নানা গ্যাজেটস নিয়ে বসে এই কাজ করছে চক্রটি। পুলিশ যেতেই তটস্থ হয়ে পড়ে তারা
কলকাতা: পর পর ভুয়ো ঘটনায় অস্বস্তি বাড়ছে কলকাতায়। ভ্যাকসিন জালিয়াতি, সিবিআই (CBI) এর ভুয়ো অফিসার, ভুয়ো চিকিৎসকের পর এবার আন্তর্জাতিক এবং প্রখ্যাত সংস্থা অ্যামাজনের ভুয়ো কলসেন্টারের খোঁজ মিলল মহানগরেই। জানা গিয়েছে এই কলসেন্টার থেকেই জনপ্রিয় সংস্থার নাম নিয়ে চলত জালিয়াতির কাজ। এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িতে ১১ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঠিক কী অভিযোগ?
পুলিশে কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে যে তারাতলার একটি অফিস থেকে অ্যামাজনের নামে জালিয়াতির কাজ চলছে। এই খবর আসতেই সোমবার সন্ধ্যেয় সেখানে হানা দেয় কলকাতা পুলিশের একটি দল। সেই দলে ছিলেন পুলিশ অফিসার এবং কনস্টেবলদের একাংশ। ফোর্স নিয়ে তৈরি হয়েই হানা দেয় কলকাতা পুলিশ।
তারাতলার Webel আইটি পার্কের সেই অফিসে গিয়ে পুলিশ দেখে একাধিক কম্পিউটার, টেলিফোন এবং নানা গ্যাজেটস নিয়ে বসে এই কাজ করছে চক্রটি। পুলিশ যেতেই তটস্থ হয়ে পড়ে তারা৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ওই অফিসে কর্মরত ব্যক্তিদের চাপ দিতেই বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা। জানা যায় অ্যামাজনের নামে একটি কাস্টমার কেয়ার খোলা হয়৷ সেখানে নিজেদের গ্লোবাল সংস্থার লাইফ স্টাইল কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন।
ওই অফিসে হানা দিয়ে পুলিশ মহ. আপ্পু তাসফিন, মহ. আলি, মির্জা রিয়াজ, কাশিফ হাসান, মির্জা শাহনাওয়াজ, শেখ জাসিম, বাবলু প্রসাদ, তৌসিফ আলি, মহ. শাহবাজ, শাহিদ আফ্রিদি এবং অভিজিৎ ঘোষ এই ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে৷ মঙ্গলবার তাদের আদালতে তোলা হবে বলে জানান হয়।
সোমবার যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের অধিকাংশেরই বয়স ১৯ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে, পুলিশ সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। একজনের বয়স ৩৬। সোমবারের ঘটনায় এই ধরনের প্রতারণা চক্রে গত কয়েকমাসে মোট গ্রেফতারির সংখ্যা ৪২-এ পৌঁছল। কলকাতায় ভুয়ো কল সেন্টারের ঘটনা অবশ্য এই প্রথম নয়। গত কয়েক মাসে তপসিয়া, সল্টলেক এমন জালিয়াতি চক্রের খোঁজ পাওয়া যায় এর আগে।