বাড়ি বিক্রি জনিত অর্থের কারণেই কি হত্যা? গড়িয়াহাটে জোড়া খুনে অধরা অপরাধী
বিপুল অর্থ, দামি গাড়ির সম্ভার, একাধিক ফ্ল্যাট, হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিত্ব। সেন্ট জেভিয়ার্সের প্রাক্তনী, IIT-IIM পাস আউট। নামী সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তাঁর এহেন মর্মান্তিক পরিণতি কেন?
পার্থপ্রতিম ঘোষ ও ময়ূখঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: গড়িয়াহাটে জোড়া হত্যাকাণ্ডে সন্ধে পর্যন্ত চালু ছিল কর্পোরেট কর্তার হোয়াটসঅ্যাপ। আততায়ীরা ক’জন ছিল? জানতে থ্রি ডি মডেলিং প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছেন গোয়েন্দারা। খুনের আগে ধস্তাধস্তির প্রমাণ মিলেছে। খুনের মোটিভ কী? উত্তর খুঁজছেন গোয়েন্দারা। পাশাপাশি গোয়েন্দাদের নজরে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ। নিহত কর্পোরেট কর্তার বাড়ির আশপাশের এলাকায় লাগানো, বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।
গড়িয়াহাটে জোড়া খুনে এখনও অধরা অপরাধীরা। খুনিরা কি নিহত কর্পোরেট কর্তার পরিচিত ছিলেন? বাড়ি বিক্রি জনিত অর্থের কারণেই কি হত্যা? বিপুল অর্থ, দামি গাড়ির সম্ভার, একাধিক ফ্ল্যাট, হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিত্ব। সেন্ট জেভিয়ার্সের প্রাক্তনী, IIT-IIM পাস আউট। নামী সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তাঁর এহেন মর্মান্তিক পরিণতি কেন?
কারা এর নেপথ্যে? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে, তিলোত্তমার বুকে জোড়া হত্যাকাণ্ডে গোয়েন্দাদের নজর এখন সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের দিকে! বালিগঞ্জ স্টেশনের অদূরে কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকীর এই তিন তলার বাড়িতে ঢোকা ও বেরনোর পথ একটিই! আর তাই সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজই এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের!
নিহত কর্পোরেট কর্তার পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, রবিবার নিউটাউনের অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে বেরনোর সময় সুবীর চাকী জানিয়েছিলেন, বাড়ি বিক্রির কথা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে। সেই জন্যই যাচ্ছেন। কাঁকুলিয়ার বাড়িতে পৌঁছনোর পর, বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর মাকে ফোন করেন তিনি।
বাড়ি সারানোর জন্য মিস্ত্রীদের বিষয়ে জানতে চান। সেই সঙ্গে, সন্ধে সাড়ে সাতটার পর বাড়ি ফিরবেন বলেও জানান।
সূত্রের খবর, ঘটনার দিন সন্ধে ৬টা ১৭ মিনিট পর্যন্ত কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকীর হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাক্টিভ ছিল। তার কিছুক্ষণ পরই মোবাইল ফোনটি সুইচড অফ হয়ে যায়। এর থেকেই তদন্তকারীদের অনুমান, সন্ধে সাড়ে ছটার মধ্যে খুনের ঘটনা ঘটেছে। তদন্তকারীদের মতে, এখানেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে CCTV ক্যামেরার ফুটেজ।
গড়িয়াহাটের কাছে কাঁকুলিয়া রোডের এই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকী ও তাঁর গাড়ির চালকের মৃতদেহ। এই বাড়ি সংলগ্ন একটি ফ্ল্যাটে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। যেখান থেকে সুবীর চাকীর বাড়ি দেখা যায়। কিন্তু, তদন্তকারীদের বক্তব্য, এই ক্যামেরায় বাড়ির ছবি স্পষ্ট ভাবে ধরা পড়েনি।
এই পরিস্থিতিতে নিহত কর্পোরেট কর্তার বাড়ির আশপাশের এলাকায় লাগানো, বিভিন্ন সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। তাঁদের আশা, এর থেকেই মিলবে ব্রেক থ্রু!