![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
JMB Terrorists Update: বাংলাদেশে জঙ্গি কাজে যুক্ত ছিল, আল-কায়দার শাখা সংগঠনের থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল ধৃত নাজিউর, দাবি পুলিশের
নকল আধার কার্ড তৈরির জন্য টার্গেট করা হত শহরের অসহায় বৃদ্ধদের...
![JMB Terrorists Update: বাংলাদেশে জঙ্গি কাজে যুক্ত ছিল, আল-কায়দার শাখা সংগঠনের থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল ধৃত নাজিউর, দাবি পুলিশের JMB Terrorists Update One arrested terrorist took training Al qaeda affiliated organization reveals police JMB Terrorists Update: বাংলাদেশে জঙ্গি কাজে যুক্ত ছিল, আল-কায়দার শাখা সংগঠনের থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল ধৃত নাজিউর, দাবি পুলিশের](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/07/13/b6f48c460b6dde2c49b8b15013329197_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
আবির দত্ত ও কমলকৃষ্ণ দে, কলকাতা: হরিদেবপুরে জেএমবি জঙ্গি গ্রেফতারে নতুন তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত নাজিউর আনসারুল্লা আল-কায়দার শাখা সংগঠনের থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল।
২ বছর আগে বাংলাদেশে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত ছিল সে। পুলিশের দাবি, ধরা পড়ার আশঙ্কায় কলকাতা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের কোনও দেশে পালানোর পরিকল্পনা ছিল ওই জঙ্গির।
বড়িশার বৃদ্ধের ভোটার কার্ডের ফোটোকপি থেকেই জাল পরিচয়পত্র তৈরি করেছিল ধৃত জেএমবি জঙ্গি নাজিউর। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পুলিশ জানতে পেরেছে, নকল আধার কার্ড তৈরির জন্য টার্গেট করা হত শহরের অসহায় বৃদ্ধদের। তাঁদের নাম-পরিচয় দিয়েই নকল আইডেনটিটি কার্ড তৈরি করত সন্দেহভাজন জঙ্গিরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, এক বছর আগে দক্ষিণ কলকাতার বড়িষার এই বাড়িতেই আসে জঙ্গিদের লিঙ্কম্যান সেলিম মুন্সি।
হরিদেবপুরের বাসিন্দা গণেশ ব্যাপারিকে সেলিম বলে, বাংলাদেশ থেকে তার এক আত্মীয় এসেছে। নাম জয়রাম ব্যাপারি। পদবী এক হওয়ায়, আত্মীয় বলে পরিচয় দিলে আধার কার্ড পেতে সুবিধা হবে।
গণেশ বলেন, আমায় এসে বলে আপনিও ব্যাপারি। আর এই আত্মীয়ও ব্যাপারি। ও একটা অটো কিনবে। আধার কার্ড লাগবে। আপনার আধার কার্ডের রেফারেন্স দিলে তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই জয়রাম ব্যাপারিই আসলে ধৃত ৩ সন্দেহভাজন জঙ্গিদের অন্যতম নাজিউর রহমান। গত শনিবার রাতে হরিদেবপুরের একটি বাসস্ট্যান্ড থেকে নাজিউর, নিখিলকান্ত ওরফে সাবির এবং রবিউল ইসলাম-- এই তিন সন্দেহভাজন জামাত-উল-মুজাহিদিন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আলকায়দার শাখা সংগঠন আনসারুল্লা বাংলার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল নাজিউর। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়।
ধরা পড়ার আশঙ্কায় সম্ভবত কলকাতা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের কোনও দেশে পালানোর পরিকল্পনা ছিল ধৃতদের। তবে তার আগেই কলকাতা পুলিশের এসটিএফ তাদের ধরে ফেলে।
এই ইস্যুতে শাসক-বিরোধী তরজা শুরু হয়ে গেছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, এটা প্রথমবার নয়। বারবার ধরা পড়ে। সারা দেশ থেকে উগ্রপন্থীরা এখানে আসে।
পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ণমূল মসৃণভাবে সবটা করছে। কোনও বিপদ দানা বাঁধছে না। পুলিশ ধরপাকড় করছে। ভিত্তিহীন, একপেশে অভিযোগ। সারা ভারতের দিকে তাকাক।
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই সোমবার উঠে আসে আরও দু’জনের নাম। শেখ শাকিল ও জঙ্গিদের লিঙ্কম্যান সেলিম মুন্সি। হরিদেবপুরের যে বাড়িটি, শেখ শাকিল ভাড়া নিয়েছিল, সেখানে মঙ্গলবার যায় এসটিএফ-এর টিম।
শেখ শাকিলের আত্মীয় বলেন, আমরা এসব কিছুই জানতাম না। আমার মেয়ের সঙ্গে ৪ বছর আগে বিয়ে হয়।
এসটিএফ সূত্রে খবর, সন্দেহভাজন জঙ্গিরা জেরায় জানিয়েছিল, ১৫ জন জামাত জঙ্গি বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকেছিল! কিন্তু, তাদের সম্পর্কে এখনও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)