(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Kalimpong News: প্রবল বর্ষণে ফের নামল ধস ! কালিম্পঙে অবরুদ্ধ জাতীয় সড়ক
Kalimpong Land Slide: ভারী বৃষ্টির জেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের এই অংশে নতুন করে ধস..
উমেশ তামাঙ্গ: উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি-ভোগান্তি চলছেই। ধসের জেরে কালিম্পঙে ফের অবরুদ্ধ জাতীয় সড়ক। ভারী বৃষ্টির জেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে ধস। ধসের জেরে ২৯ মাইল এলাকায় রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ।
মূলত গত মাস থেকেই অতিবৃষ্টি শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গে। যার জেরে সমস্যা বেড়েছে বাসিন্দাদের। লাগাতার বৃষ্টির জেরে কার্যত বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের জনজীবন। এদিকে সম্প্রতি টানা বৃষ্টিতে তিস্তায় জলচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে গত মাস থেকেই। এদিকে তার উপরে রাম্বি ও কালিঝোরা ড্যামের থেকেও জল ছাড়া হয়েছিল।যার জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল তিস্তা বাজার এলাকা। তিস্তা ব্যারেজ থেকে বারংবার জল ছাড়তেই ফুলে ফেঁপে উঠেছিল। তিস্তার জল ঢুকে প্লাবিত হয়ে পড়ে জলপাইগুড়ির মালবাজারের টোটগাঁও। ৫০টিরও বেশি পরিবার জলবন্দি হয়ে পড়ে। আশ্রয় নেয় স্থানীয় স্কুলে।
অপরদিকে, প্রবল বৃষ্টিতে উত্তরাখণ্ডে কেদারনাথ যাত্রায় বিপত্তি। ভীমবালিতে আটকে পড়েছেন দেড়শো থেকে ২০০ জন তীর্থযাত্রী। কেদারনাথে মেঘ ফেটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩০ মিটার ফুটপাথ। যাতায়াত করতে পারছেন না পথচারী ও তীর্থযাত্রীরা। তাঁরা নিরাপদে রয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। বন্য়া পরিস্থিতি রুদ্রপ্রয়াগেও। প্রবল বৃষ্টির জেরে গৌরীকুণ্ড ও সোনপ্রয়াগে বেড়ে যায় মন্দাকিনী নদীর জলস্তর।
ধস-বিধ্বস্ত ওয়েনাডে মৃতের সংখ্যা তিনশো ছাড়িয়ে গেল । কেরল সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, ভূমিধসে এখনও পর্যন্ত ৩০৮ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে নরম কাদামাটি সরাতেই উঠে আসছে দেহ আর দেহাংশ। পুরোদস্তুর মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ওয়েনাডের চূড়লমালা।
ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে চলছে প্রাণের সন্ধান। দিল্লি থেকে ড্রোন-নির্ভর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রাডার দিয়ে প্রাণের খোঁজ চালানোর পরিকল্পনা। উদ্ধারকাজে প্রাণের খোঁজে কাজে লাগানো হবে ১০টি স্নিফার ডগ। ধসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বেইলি ব্রিজ তৈরির কাজ শেষ করেছে সেনাবাহিনী। চূড়লমালা গ্রামে পাঠানো হয়েছে ২৫টির বেশি অ্যাম্বুল্যান্স।
আরও পড়ুন, রাজ্যসভা থেকে BJP সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যকে বহিষ্কারের দাবি , 'বক্তব্যের বিরোধিতা..'
ওয়েনাডে রাজ্যের ২৪২ জন পরিযায়ী শ্রমিক আটকে। রাজ্য যোগাযোগ করতে পেরেছে ১৫৫ জনের সঙ্গে। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমের শ্রমিকরা আটকে। রাজ্য সরকার এঁদের ব্যাপারে খোঁজ রাখছে, বিধানসভায় জানালেন মন্ত্রী মলয় ঘটক।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।