কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে তদন্ত শুরু আয়কর দফতরের
সূত্রের খবর, ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে টাকার উত্স কী? কোথায় লেনদেন? গত পাঁচবছরে কোনও আয়কর রিটার্ন জমা হয়েছে কিনা? এসবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: পুলিশ ও ইডি-র পর এবার ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে তদন্ত শুরু করল আয়কর দফতর। গতকাল দিনভর দেবাঞ্জন দেব ও তাঁর দুই শাগরেদের বাড়িতে তল্লাশি চালান আয়কর দফতরের অফিসাররা। সূত্রের খবর, ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে টাকার উত্স কী? কোথায় লেনদেন? গত পাঁচবছরে কোনও আয়কর রিটার্ন জমা হয়েছে কিনা? এসবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর আগেই ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
গত ৭ সেপ্টেম্বর ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেবকে জেলে গিয়ে জেরা করার অনুমতি পায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দেবাঞ্জন দেব পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। স্পেশাল কোর্টে দেবাঞ্জনকে জেরার অনুমতি চেয়ে ইডি আবেদন করে। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। ইডি স্পেশাল কোর্ট জানায়, যখনই দেবাঞ্জন জেল হেফাজতে যাবেন, তখনই ইডির অফিসাররা তাঁকে জেলে গিয়ে জেরা করতে পারবেন। এই নির্দেশ প্রতিটি জেল সুপারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।
এরপর গতকাল ভুয়ো ভ্যাকসিন মামলায়, এবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে দেবাঞ্জন দেবকে ৪ ঘণ্টা জেরা করে ইডি। সূত্রের খবর, ভুয়ো IAS দেবাঞ্জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়। গত সপ্তাহে ভুয়ো IAS দেবাঞ্জন দেবের মাদুরদহের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। তল্লাশি চালানো হয় তাঁর আত্মীয়ের বাড়িতে। এরপর এবার প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে দেবাঞ্জন দেবকে জেরা করল ইডি। সূত্রের খবর, ৪ ঘণ্টা ধরে তাঁকে জেরা করা হয়। দেবাঞ্জনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথি খতিয়ে দেখেই জেরা করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।এদিন দেবাঞ্জনের বয়ান রেকর্ডও করা হয়। ED সূত্রে খবর, ভুয়ো ভ্যাকসিন মামলায় ধৃত বাকিদের বয়ান মিলিয়ে দেখে, দেবাঞ্জনকে তাদের মুখোমুখি বসিয়ে ফের জেরা করা হতে পারে।
দিনকয়েক আগে ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে গ্রেফতার দেবাঞ্জন দেবের মাদুরদহের বাড়িতে হানা দেন ইডি-র অফিসাররা। তল্লাশি চলে দেবাঞ্জনের আত্মীয় রাহুল বর্ধনের লেনিন সরণির বাড়িতেও। রাহুল মেডিসিন সাপ্লায়ার হিসেবে কাজ করতেন। প্রসঙ্গত, কসবায় ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় দেবাঞ্জন দেবকে। সাংসদ ও অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কোনও শংসাপত্র না পেতেই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। এর পর একে একে তাঁর অপকর্মের তালিকা সামনে আসে। জানা যায়, বিভিন্নভাবে প্রতারণার জাল পেতেছিলেন দেবাঞ্জন। গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। শুরু হয় তদন্ত। স্নাতক স্তরে পড়াকালীনই প্রতারণায় হাত পাকানো শুরু ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জনের, প্রতারণার হাত থেকে বাদ যাননি গৃহশিক্ষকও।