KMC Election 2021: ভোট দিতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন ভোটারও, দিনভর অশান্তি শহর জুড়ে
KMC Election 2021: উত্তর কলকাতার সিঁথিতেও উঠেছে একই অভিযোগ। পুলিশি হস্তক্ষেপের দাবিতে ২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী সিঁথি থানায় ধর্নায় বসেন।
কলকাতা: কলকাতা পুরসভার ভোটগ্রহণ (KMC Election 2021) মিটে গিয়েছে। কিন্তু হিংসার ঘটনা উঠে আসায় কোনও বিরাম নেই। কোথাও ভোট দিতে গিয়ে ভোটারই আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কোথাও আবার পুলিশের সামনেই কংগ্রেস এজেন্টকে মাটিতে ফেলে মারধরের (KMC Election Violence) অভিযোগ উঠল। বেশির ভাগ অশান্তির ঘটনাতেই তৃণমূলের (TMC) দিকে আঙুল তুলেছে বিরোধীরা। তা নিয়ে একয়োগে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি।
উত্তর কলকাতার বড়তলা থানায় পোলিং এজেন্টদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ বাম এবং কংগ্রেসের। এজেন্টদের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে বড়তলা থানায় একযোগে বিক্ষোভ দেখান বাম নেতা এবং এজেন্টরা। তাতে সামিল হন ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থীও।
১৭ এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে রিগিং হয় বলেও অভিযোগ। প্রতিবাদে প্ল্যাকার্ড হাতে চলে বিক্ষোভ। এখানে আবার তৃণমূল প্রার্থীর ভাই প্রচারের পরের দিন থেকে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। বেলা ১১টার পর যেন কোনও এজেন্ট না বুথে থাকেন, তার জন্য তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ। এই নিয়ে বড়তলা থানার পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে বচসায় জড়ান কংগ্রেস প্রার্থী।
আরও পড়ুন: KMC Election 2021: ২ জায়গায় বোমাবাজি, বুথ দখলের কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি, জানাল নির্বাচন কমিশন" href="https://bengali.abplive.com/district/kmc-election-2021-live-updates-west-bengal-kolkata-municipal-corporation-polls-latest-news-2-incidents-of-bombing-no-allegation-of-booth-capturing-said-ec-854056" target="_blank" rel="noopener"> ২ জায়গায় বোমাবাজি, বুথ দখলের কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি, জানাল নির্বাচন কমিশন
উত্তর কলকাতার সিঁথিতেও উঠেছে একই অভিযোগ। পুলিশি হস্তক্ষেপের দাবিতে ২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী সিঁথি থানায় ধর্নায় বসেন। অভিযোগ ওঠে, থানার সামনে ছাপ্পা ভোট হচ্ছে। পুলিশ দেখেও কিছু করছে না। বার বার বলার পরেও ব্যবস্থা নেয়নি। যদিও তৃণমূলের দাবি, হার নিশ্চিত জেনে বাহানা দেওয়া হচ্ছে।
বুথ দখলের অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দক্ষিণের বাঘাযতীনও। রাস্তায় শুয়ে পড়ে পথ অবরোধ করেন বাম কর্মীরা। ১০১, ১০২, ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের অধিকাংশে বুথে সিপিএমের এজেন্ট বসতে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাঁধে বিক্ষোভকারীদের। সেখানে পুনর্বির্বাচনের দাবি ওঠে।
তবে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) বক্তব্য, “বামেরা অপ্রসাঙ্গিক হয়ে গিয়েছে। যেটুকু ওদের ক্ষমতা ছিল, তা-ও টালিগঞ্জ, যাদবপুরে ভোটের পর চলে গিয়েছে। ওদের কর্মীরা বিজেপি করছেন। এখন ওদের অস্তিত্বের লড়াই। ওরা এখন বিজেপির মতো সন্ত্রাস, সন্ত্রাস বলছে।“