Kolkata: মাছের দেহের 'রোগ' ঢুকল মহিলার চোখে! বিরল রোগের চিকিত্সায় সাফল্য মেডিকেল কলেজের
করোনা পরবর্তী সময়ে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক সংক্রমণ ইদানীং দেখা গেছে। এবার বিরল প্রজাতির প্রোটোজোয়ার সংক্রমণ চিন্তা বাড়াল রাজ্যে।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বিরল রোগের চিকিত্সায় সাফল্য। বিশেষ ধরনের প্রোটোজোয়ার সংক্রমণের কারণে ক্রমেই দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছিলেন এক রোগী। এন্ডোস্কপির সাহায্যে ওই রোগীর চোখের পিছনে বাসা বেঁধে থাকা প্রোটোজোয়াকে নির্মূল করলেন চিকিত্সকরা। দু’একদিনের মধ্যেই রোগীর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার কথা। এই রোগটি সাধারণত গবাদি পশুর দেহ থেকে মাছের দেহে প্রবেশ করে। সেখান থেকেই তা ছড়ায় মানুষের দেহে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই রোগটিকে বিরল থেকে বিরলতম বলা হয়ে থাকে। করোনা পরবর্তী সময়ে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক সংক্রমণ ইদানীং দেখা গেছে। এবার বিরল প্রজাতির প্রোটোজোয়ার সংক্রমণ চিন্তা বাড়াল রাজ্যে। ওই প্রোটোজোয়ার সংক্রমণে চোখ হারাতে বসেছিলেন এক মহিলা। তাঁকে সুস্থ করে বিরল রোগের চিকিত্সায় নজির গড়ল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।
চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, এই প্রোটোজোয়ার নাম রাইনো স্পোরেডিয়াম সিবেরি। মূলত যে জলাশয়ে গবাদি পশুদের স্নান করানো হয়, সেখানেই এরা বাসা বাঁধে। গবাদি পশুর শরীর থেকে মাছেদের শরীরে যায়। সেই জলাশয়ে স্নান করলে অনেক ক্ষেত্রে এই প্রোটোজোয়া মানব শরীরে ঢুকে পড়ে।
উত্তর ২৪ পরগনার গাড়ুলিয়ার বাসিন্দা রিনা বিশ্বাস আক্রান্ত হয়েছিলেন এই প্রোটোজোয়ার সংক্রমণে। ৬ মাস আগে থেকে সমস্যার শুরু। রোগীর পরিবার সূত্রে দাবি, প্রথমে তাঁর বাঁ চোখ ফুলে যেতে শুরু করে। কমতে থাকে দৃষ্টিশক্তি। মহিলাকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইএনটি বিভাগে ভর্তি করা হয়।। সেখানেই পরীক্ষায় ধরা পড়ে, প্রোটোজোয়ার সংক্রমণ।
চিকিত্সকদের দাবি, দেখা যায়, প্রোটোজোয়া নাক দিয়ে ঢুকে বাসা বেঁধেছে বাঁ চোখের পিছনের অংশে। গত ২০ অগাস্ট এন্ডোস্কপি পদ্ধতির সাহায্যে নির্মূল করা হয়। মেডিকেল কলেজের ইএনটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রামানুজ সিংহ বলেন, "এই অপারেশন কতটা বিরল তা বলার নয়। অপারেশন না হলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারত? রোগী এখন সুস্থ। তাঁকে দু’একদিনের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার কথা।"