Jamtara Gang in Kolkata: জামতাড়া গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে শহরজুড়ে অভিযান কলকাতা পুলিশের, গ্রেফতার ১৬
ধৃতদের অধিকাংশই ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া, গিরিডি ও ধানবাদের বাসিন্দা...
ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: জামতাড়া গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কলকাতাজুড়ে গোয়েন্দা পুলিশের তল্লাশি অভিযান। ব্যাঙ্ক প্রতারণা শাখার পুলিশের হাতে গ্রেফতার ১৬ জন।
ধৃতদের অধিকাংশই ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া, গিরিডি ও ধানবাদের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতার আশেপাশের এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে এরা অপারেশন চালাত।
ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে জাল এটিএম কার্ড, মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ। এরা কী ধরনের প্রতারণার কারবার চালাত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত পরশু, ব্যাঙ্ক কর্মী পরিচয় দিয়ে দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টের তথ্য হাতিয়ে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। এন্টালির প্রৌঢ় ব্যবসায়ীর ২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে লোপাট লক্ষাধিক টাকা। ব্যাঙ্ক ও লালবাজার সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যক্তি।
সত্তর বছর বয়সী চণ্ডীদাস মল্লিকের অভিযোগ, ব্যাঙ্ক কর্মী পরিচয় দিয়ে ২৩ অগাস্ট একটা ফোন আসে। বলা হয়, অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য না দিলে, এটিএম কার্ড ব্লক হয়ে যাবে।
বৃদ্ধের দাবি, আচমকা একথা শুনে ভয়ে তথ্য বলে দেন তিনি। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই অ্যাকাউন্ট থেকে ৫১ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
তবে এখানেই শেষ নয়। কিছুক্ষণের মধ্যে ফের ওই নম্বর থেকে ফোন আসে। অভিযোগ, টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফের কিছু তথ্য চাওয়া হয়।
চণ্ডীদাস মল্লিকের দাবি, টাকা ফেরতের কথা শুনে সেই তথ্যও তিনি দিয়ে দেন। এরপর অ্যাকাউন্ট থেকে ফের ৭০ হাজার টাকা গায়েব হয়ে যায় বলে অভিযোগ।
ব্যাঙ্ক থেকে ফোন করে অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য কখনই চাওয়া হয় না। এই নিয়ে লাগাতার প্রচার চালাচ্ছে ব্যাঙ্ক ও পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু, তাতেও আটকানো যাচ্ছে না প্রতারণা।
এই ঘটনায় ব্যাঙ্ক ও লালবাজারের সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রৌঢ় ব্যবসায়ী। তদন্তে নেমে প্রতারণার মোডাস অপারেন্ডি দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়, নেপথ্যে হয়ত ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া গ্যাং থাকতে পারে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে নেমে দেখা যায়, সেই পুরনো কায়দায় ব্যাঙ্ক প্রতারণা করা হচ্ছে। ফোন করে তথ্য হাতিয়ে, অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে এক্ষেত্রে।
২ দিনের মধ্যেই কলকাতা থেকে অপারেশন চালানো জামতাড়া গ্যাংয়ের পর্দাফাঁস করল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।