Kolkata Police's Smart Kiosk : মাঝরাস্তায় বিপদ? মহিলা সুরক্ষায় স্মার্ট কিয়স্ক বসানো শুরু কলকাতা পুলিশের
Police Smart Kiosk : মাঝরাস্তায় কোনও বিপদে পড়লে কিয়স্কে ঢুকে বোতামে ক্লিক করলেই খবর পৌঁছে যাবে লালবাজারের কন্ট্রোল রুমে।
ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : তিলোত্তমায় নারী-সুরক্ষায় জোর দিতে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) নতুন পদক্ষেপ। রাস্তাঘাটে কোন মহিলা অশোভন আচরণের সম্মুখীন হলে যাতে দ্রুত সাহায্যের ব্যবস্থা করা যায়, সেই জন্য কলকাতা পুলিশের তরফে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হল স্মার্ট কিয়স্ক (Security Smart Kiosk)। আলিপুর চিড়িয়াখানার (Alipore Zoo) উল্টোদিকে বসানো হয়েছে এই হটলাইন স্মার্ট কিয়স্ক। মাঝরাস্তায় কোনও বিপদে পড়লে কিয়স্কে ঢুকে বোতামে ক্লিক করলেই খবর পৌঁছে যাবে লালবাজারের কন্ট্রোল রুমে (Lalbazar Police Control Room)। পাশাপাশি খবর পৌঁছে যাবে স্থানীয় থানাতেও (Local Thana)। যার জেরে সেই মুহূর্তে ব্যবস্থা নিতে পারবে পুলিশ।
কিয়স্কে দুটি গেট রয়েছে। অভিযোগ জানানোর জন্য এই বিশেষ কক্ষে রয়েছে একটি যন্ত্র। যার ক্লিক বাটনে প্রেস করে কথা বললেই, মহিলার অডিও ও ভিডিও পৌঁছে যাবে স্থানীয় থানা ও লালবাজারের কন্ট্রোল রুমে। কিয়স্কে রয়েছে সিসি ক্যামেরাও। মঙ্গলবার এই কিয়স্কের ট্রায়ালের উদ্বোধন করেন কলকাতা পুলিশের ডিসি ট্রাফিক ও ডিসি সাউথ।
দিনকয়েক আগেই বিধাননগরে এক অ্যাসিস্টান্ট সাব ইন্সপেক্টর ও এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে উঠেছে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। সেক্ষেত্রে দীর্ঘ পথ ঘুরে কসবা থানার পুলিশের সহায়তায়, বিধাননগর উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করতে হয় অভিযোগকারিণীকে। এই প্রেক্ষাপটেই এবার এ ধরণের কিয়স্ক চালু হল। প্রসঙ্গত, সামনেই বড়দিন। তাপমাত্রার পারদ নামতেই চিড়িয়াখানাতেও প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতিতে মহিলাদের নিরাপত্তা আরও বেশি করে সুনিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন- পুলিশের কাছে লিফট চেয়েই বিপত্তি, মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ ASI-এর বিরুদ্ধে
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই জানা যায় এক পুলিশকর্মী ও এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে তরুণীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। করুণাময়ী (Karunamayee) থেকে উল্টোডাঙা (Ultadanga) যাওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন আসানসোলের (Asansol) এক বাসিন্দা। দীর্ঘক্ষণ কোনও গাড়ি পাননি তিনি। তখনই বাইকে যাচ্ছিলেন পুলিশকর্মী (Kolkata Police)। সঙ্গে ছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁদের দেখেই লিফট চান সেই মহিলা। আর এরপরেই বিপত্তি। বাইকে লিফট দেওয়ার নামে শ্লীলতাহানির (Molestation) অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, গন্তব্যে না পৌঁছে বিভিন্ন রাস্তায় ঘোরানো হয় তাঁকে।