Kolkata Hookah Bar Raid:কোভিড বিধিকে থোড়াই কেয়ার! ক্যাফের আড়ালে শহরে হুক্কা বার, মাঝরাতে পুলিশ অভিযানে ধৃত ১০
বুধবার ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ১টা। আচমকা ভবানীপুরের অ্যাস্টন রোডের এই চারতলা বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ।
পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: কোভিড বিধি অগ্রাহ্য করে মাঝরাত পর্যন্ত ভবানীপুরে চলছিল দু’-দুটি হুক্কা বার। খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বার, গ্রেফতার ১০। ধৃতদের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে রুজু হয়েছে মামলা। ২টি বারের মালিকই পলাতক।
চারতলা বাড়িজুড়ে ঝাঁ চকচকে ক্যাফে। কোথাও আবার বাড়ির দোতলায় জমত আড্ডা। দামি আসবাব, নানা ধরনের খেলার সরঞ্জাম দিয়ে সাজানো-গোছানো ক্যাফে। তবে রাত বাড়লেই বাতাস ভারী হয়ে ওঠে ধোঁয়ায়। খবর পেয়ে মাঝরাতে অভিযান চালিয়ে দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত এলাকায় হুক্কা বারের হদিশ পেল পুলিশ।
বুধবার ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ১টা। আচমকা ভবানীপুরের অ্যাস্টন রোডের এই চারতলা বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। দেখা যায় ক্যাফের আড়ালে বসেছে নেশার আসর। এক কর্মীই বলছেন, ভোর ৪-৫টা পর্যন্ত খোলা থাকত হুক্কা বার প্রচুর লোক আসত।
এরপর কিছুটা দূরে ভবানীপুর থানা এলাকারই এলগিন রোডে দ্য উইংস নামে আরেকটি ক্যাফেতে হানা দেয় পুলিশ। সেখানেও ক্যাফের আড়ালে হুক্কা বারে চলছিল নৈশ-হুল্লোড়। এই ঘটনায় দুটি ক্যাফেই বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
দুই মালিক পলাতক হলেও ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, বিপর্যয় মোকাবিলা এবং তামাকজাত দ্রব্য আইনে রুজু হয়েছে মামলা।
২ দিন আগেই প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় ক্যাফের আড়ালে হুক্কা বার চালানোর অভিযোগ ওঠে। আড়াই মাস আগে রাতভর হুক্কা বার খোলা রাখা নিয়ে অশান্তি হয় কসবা থানা এলাকায়।
উল্লেখ্য, একদিন আগেই করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে রাতের বিধিনিষেধে আরও কড়াকড়ির নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্যের সব পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, প্রত্যেক বিধিভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে পুলিশকে।নির্দেশে বলা হয়েছে, ফ্লাইং স্কোয়াডের মাধ্যমে রাতে নাকা চেকিং আরও অনেক বাড়াতে হবে। বড় রাস্তা থেকে অলিগলি, নজরদারি চালাতে হবে সর্বত্র। পুলিশি অভিযানে সামিল হতে হবে আবগারি দফতরের কর্তাদের।বিধিভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে পুলিশকে। আন্তঃরাজ্য সীমানা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকাতেও নজরদারি শুরু করতে হবে।