(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Kolkata: দমদমের ইস্ট মল রোডে চারদিন ধরে মহিলার পচা-গলা দেহ আগলে ভাই-বোন, উদ্ধার করল পুলিশ
Kolkata News: রবিনসন স্ট্রিটকাণ্ডের ছায়া দমদমের ইস্ট মল রোডে। দিদির পচাগলা দেহ আগলে বসে রইলেন ভাই-বোন।
আবীর দত্ত, কলকাতা: রবিনসন স্ট্রিটকাণ্ডের ছায়া দমদমের ইস্ট মল রোডে। দিদির পচাগলা দেহ আগলে বসে রইলেন ভাই-বোন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মায়ের মৃত্যুর পর ভাই ভাস্কর ও বোন রাখির সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতেন ৫৬ বছরের সুপ্রিয়া ঘোষ। পরিবারের সদস্যদের মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে প্রতিবেশীদের দাবি। গতকাল বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে বাগুইআটি থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে মহিলার কম্বল জড়ানো পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। চারদিন আগে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
গত মাসে গড়ফাতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে। ৩ মাস ধরে বাবার মৃতদেহ আগলেছিলেন ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, গৃহকর্তা বছর সত্তরের সংগ্রাম দে-কে কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছে না বলে গড়ফা থানায় জানান প্রতিবেশীরা। কে পি রায় লেনের বাড়িতে গিয়ে গৃহকর্তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সংগ্রাম দে সল্টলেকে ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের অফিসে কাজ করতেন। বাড়িতে থাকতেন তাঁর পক্ষাঘাতে আক্রান্ত স্ত্রী ও ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, ছেলের দাবি, ৩ মাস আগে বাবা মারা গেছেন। তিনি বেঁচে উঠবেন ভেবে বাড়িতেই মৃতদেহ রেখে দেন।
পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়, ওই ব্যক্তির কিভাবে মৃত্যু হল, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা যাবে। মৃতের ছেলের বক্তব্যও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেন কোনও গন্ধ পাওয়া গেল না? কেনই বা প্রতিবেশীরা কিছুই বুঝতে পারলেন না? তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।
কয়েক মাস আগে রবিনসন স্ট্রিটকাণ্ডের ছায়া দেখা যায় ট্য়াংরায়। বৃদ্ধার মৃতদেহ আগলে রেখেছিলেন মেয়ে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সেই মৃতদেহ উদ্ধার করে। কীভাবে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হল তার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানানস ৪-৫ দিন ধরে বৃদ্ধার দেহ আগলে রেখেছিলেন মেয়ে। দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে।