Kunal on Suvendu: তৃণমূলের জন্য পয়া! কর্মীদের ‘লাফিং শুভেন্দু’ সঙ্গে রাখার পরামর্শ কুণালের
Kunal on Suvendu: সতীর্থ শুভেন্দুর উদ্দেশে অভিনব কায়দায় কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন কুণাল। এ দিন নিজের টুইটার হ্যান্ডলে লাফিং বুদ্ধের আদলে শুভেন্দুর মুখ বসানো একটি মূর্তির ছবি পোস্ট করেন কুণাল।
কলকাতা: তৃণমূল ছেড়ে চলে গেলেও, এখনও দলের জন্য পয়া শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)! তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) অন্তত তেমনই মনে করেন। তাই বকেয়া চার পৌরসভা কেন্দ্রে দল ব্যাপক জয়লাভ করার পরই তৃণমূলের (TMC) কর্মী-সমর্থকদের লাফিং বুদ্ধের সংস্করণে তৈরি ‘লাফিং শুভেন্দু’র মূর্তি সঙ্গে রাখার পরামর্শ দিলেন তিনি।
সোমবার রাজ্যের চার পৌরসভার ভোটে বিপুল সমর্থনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। তবে বিজেপি-র (BJP) দাবি, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্বের জন্যই সবুজ ঝড় সম্ভব হয়েছে। তাই কমিশনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আদালতের (Calcutta Hugh Court) দৃষ্টি আক্রষণ করেছে তারা। এমনকি বিধাননগর পৌরসভায় ১০ হাজার মানুষ ভোট দিতে পারেননি বলে অভিযোগও করেছেন শুভেন্দু। তাঁদের দিয়ে আদালতে পিটিশন দায়ের করাবেন বলে জানিয়েছেন।
এ সবের মধ্যেই প্রাক্তন সতীর্থ শুভেন্দুর উদ্দেশে ব্য়ঙ্গাত্মক সুরে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন কুণাল। এ দিন নিজের টুইটার হ্যান্ডলে লাফিং বুদ্ধের আদলে শুভেন্দুর মুখ বসানো একটি মূর্তির ছবি পোস্ট করেন কুণাল। তাতে লেখেন, ‘তৃণমূলের প্রার্থী-সমর্থক রয়েছেন যাঁরা, লাফিং বুদ্ধের বদলে লাফিং শুভেন্দুর এই মডেলটি রাখতে পারেন তাঁরা। যেখানেই এর মুখটি দেখা যাবে, সেখানেই তৃণমূল বিপুল ভাবে জিতবে। তৃণমূল পরিবারের সাফল্য, আনন্দ, সমৃদ্ধির জন্য এই জিনিসটি আপাতত দারুণ কার্যকর।’
যাঁরা @AITCofficial প্রার্থী ও সমর্থক, তাঁরা 'লাফিং বুদ্ধ'র বদলে ' লাফিং শুভেন্দু'র এই মডেলটি রাখতে পারেন। যেখানেই এর মুখটি দেখা যাবে, সেখানেই তৃণমূল বিপুলভাবে জিতবে। তৃণমূল পরিবারের সাফল্য, আনন্দ, সমৃদ্ধির জন্য এই জিনিসটি আপাতত দারুণ কার্যকর। pic.twitter.com/GUasKhFr61
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) February 15, 2022
আরও পড়ুন: BJP High Court Case : 'পক্ষপাতিত্ব করছে কমিশন' হাইকোর্টে দ্রুত শুনানির আর্জি BJP র
এবিপি আনন্দকে ফোনে কুণাল আরও বলেন, ‘‘লাফিং শুভেন্দুর মডেল তৃণমূলের জন্য পয়া এবং বিনোদনমূলক। যেখানেই দেখা যাবে, সেখানেই বিপুল ভোটে জিতবে তৃণমূল।’’
সোমবার চার পৌরসভা কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর মঙ্গলবারই কলকাতা হাই কোর্টে গিয়েছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প চালিয়ে নিয়ে যেতে অনুমতি দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। প্রচারে সেগুলিকেই হাতিয়ার করছে শাসক দল। নির্দল প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ জানায় তারা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে দ্রুত শুনানির দাবি করে।
তাতে সায় দিয়ে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় শুনানিতে রাজি হয়েছে আদালত। সেই আবহেই এ দিন বিধাননগর থেকে অনেকে ভোট দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু। জানান, এমন ১০ হাজার মানুষের তালিকা রয়েছে তাঁর কাছে। পেশায় চিকিৎসক, আইনজীবী, শিক্ষক সকলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানিয়েছেন, ভোট দিতেই পারেননি তাঁরা। তাঁদের দিয়ে তাই আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করানো হবে বলে জানান শুভেন্দু।
কিন্তু কুণালের বক্তব্য, ‘‘সব মানুষ ভোট দেন না। তাই ভোট না দেওয়াকে, দিতে না দেওয়া বলাটা হাস্যকর।’’ কমিশন হাই কোর্ট নয়, শুভেন্দু বিমানের টিকিট কেটে সরাসরি রাষ্ট্রপুঞ্জে গিয়ে অভিযোগ জানাতে পারেন বলেও কটাক্ষ করেন কুণাল। একই সঙ্গে জয়প্রকাশ মজুমদারের সঙ্গে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের দ্বন্দ্বকে খুঁচিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘‘শুভেন্দু জয়প্রকাশ মজুমদারের ভোটের হিসেবটা রেখেছে তো!’’