![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Petrol and diesel prices Today ডিজেল পার করল ৮৯ টাকা, কলকাতায় পরপর দুদিন বাড়ল জ্বালানির দাম
পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি ২৬ পয়সা এবং ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ২৭ পয়সা বাড়ল
![Petrol and diesel prices Today ডিজেল পার করল ৮৯ টাকা, কলকাতায় পরপর দুদিন বাড়ল জ্বালানির দাম Petrol Diesel Rate today Petrol and diesel prices price in on 07 June Petrol and diesel prices Today ডিজেল পার করল ৮৯ টাকা, কলকাতায় পরপর দুদিন বাড়ল জ্বালানির দাম](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/05/16/84e741cb15f14d114d4ba2a6f1bab06f_original.png?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: মুম্বইতে আগেই পেট্রোলের দাম সেঞ্চুরি পার করেছে। কলকাতায় ৯৫ পার করেছে পেট্রোল। এবার ডিজেল পার করল ৮৯ টাকা। পরপর দুদিন কলকাতায় বাড়ল জ্বালানির দাম।
আজ কলকাতায় পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি ২৬ পয়সা এবং ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ২৭ পয়সা বাড়ল। ফলে পেট্রোলের দাম হল লিটারে ৯৫ টাকা ২৮ পয়সা। ডিজেলের দাম লিটারে ৮৯ টাকা ০৭ পয়সা হল।
গতকাল কলকাতায় পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি ২৬ পয়সা এবং ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ২৯ পয়সা বেড়ে হয়ছিল যথাক্রমে ৯৫ টাকা ২ পয়সা ও ৮৮ টাকা ৮০ পয়সা।
শুক্রবার কলকাতায় পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি ২৬ পয়সা এবং ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ২৮ পয়সা বেড়ে হয়েছিল যযথাক্রমে ৯৪ টাকা ৭৬ পয়সা ও ৮৮ টাকা ৫১ পয়সা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বিপর্যস্ত জীবন জীবিকা। কার্যত লকডাউনে বহু মানুষের দৈনন্দিন রোজগারের রাস্তা বন্ধ।
এই পরিস্থিতিতেও রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি দু’একদিন অন্তর বাড়িয়েই চলেছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। সোমবার ফের দাম বাড়ানো হল।
আজকেরটা ধরে শুধু জুন মাসেই পেট্রোলের দাম বেড়েছে লিটারে ১ টাকা ০৩ পয়সা পয়সা। একই সময়ে ডিজেলের দাম লিটারে ১ টাকা ০৭ পয়সা বেড়েছে। রেকর্ড গড়ে পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি ১০০ টাকা পেরিয়েছে, মহারাষ্ট্রের মুম্বই, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে।
জীবিকার জন্য যাঁদের স্কুটার বা মোটরবাইক ভরসা, তাঁরা ভেবে পাচ্ছেন না কী করবেন? তেমনই একজন জানালেন, এখন পেট্রোলের দাম ১০০ টাকা ছুঁইছুঁই। এইভাবে কী কাজ করা সম্ভব?
পাম্প মালিকদের অভিযোগ, আগে তেল সংস্থাগুলি কেন, কত টাকা দাম নেওয়া হচ্ছে তার ব্রেক আপ পাঠাত তারা। কয়েকমাস হল ব্রেক আপ পাঠানো তারা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে দাম কোন স্তরে কত টাকা বাড়ছে, তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না।
এমন একজন পেট্রোল পাম্প মালিক বললেন, আমাদের কাছে এসে লোকে বিরক্তি দেখাচ্ছে। আগে ওয়েল কোম্পানিগুলো তেলের দামের ব্রেক আপ পাঠাত। স্বচ্ছভাবে সব কিছু বোঝা যেত। কয়েকমাস হল তা পাঠাচ্ছে না। এখন আমরা বুঝছি না দাম কেন বাড়ছে। আমাদের কাছে সদুত্তর নেই।
অর্থনীতিবিদদের একাংশের যুক্তি, একটা স্তরে সরকারের উচিত দাম নিয়ন্ত্রণ করা। অর্থনীতিবিদ গৌতম গুপ্ত বললেন, এটা জরুরি পণ্য। এর সঙ্গে বাজারের অন্য পণ্যের দামের ওঠানামা যুক্ত। এর দায় এড়াতে পারে না সরকার। একটা স্তরে দাম নিয়ন্ত্রমের করা উচিত। জিএসটি আওতায় আনছে না। এটা আনলে ভাল হতো।
এই ইস্যুতে ভারসাম্য রক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার। বললেন, সবসময় এটা বলা হয় যে, পেট্রোল-ডিজেলের মৃল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কিছু করুক। কিন্তু আমাদের ভারস্যমাও রক্ষা করতে হবে। সরকারের দায়িত্ব মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। আমি আশা করি, যাঁদের এই দায়িত্ব, তাঁরা ভারসাম্য রক্ষা করবেন।
ইতিমধ্যেই তেলের দামের বোঝা বাজারের কাঁধে চাপতে শুরু করেছে। খুচরো বাজারের বিভিন্ন পণ্যের দামও ঊর্ধ্বমুখী। এই সাঁড়াশি চাপে সাধারণ মানুষের মাথায় হাত।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)