Petrol and diesel prices Today ফের বাড়ল জ্বালানির দাম, আজ কলকাতায় পেট্রোল ৯২.৬৭ টাকা, ডিজেল ৮৬.০৬
পেট্রোলের দাম বেড়েছে লিটারপ্রতি ২৩ পয়সা, ডিজেলের ২৭ পয়সা
কলকাতা: মাঝে দুদিন বিরতি দেওয়ার পর ফের ঊর্ধ্বমুখী জ্বালানির মূল্য।
ফের পেট্রোলের দামে রেকর্ড বৃদ্ধি হল কলকাতায়। কলকাতায় পেট্রোলের দাম বেড়েছে লিটারপ্রতি ২৩ পয়সা। ডিজেলের দাম বেড়েছে লিটারপ্রতি ২৭ পয়সা।
প্রতিদিনই নিজের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়ছে জ্বালানির দাম। গত ২ দিন দামে কোনও পরিবর্তন না হলেও, সোমবার ফের বৃদ্ধি হল পেট্রোল-ডিজেলের। এ বছরে সর্বোচ্চ দামে পৌঁছল পেট্রোল।
লিটারপ্রতি ২৪ পয়সা বেড়ে আজ কলকাতায় পেট্রোলের দাম হল ৯২ টাকা ৬৭ পয়সা। ২৫ পয়সা বেড়ে কলকাতায় লিটারপ্রতি ডিজেলের দাম হল ৮৬ টাকা ০৬ পয়সা।
মাঝে শনি ও রবিবার তেলের দাম বাড়েনি। তার আগে, শুক্রবার, লিটারপ্রতি ২৮ পয়সা বেড়ে কলকাতায় পেট্রোলের দাম হয়েছিল ৯২ টাকা ৪৪ পয়সা। ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ৩৪ পয়সা বেড়ে হয়েছিল ৮৫ টাকা ৭৯ পয়সা।
বুধবার, লিটারপ্রতি ২৪ পয়সা বেড়ে কলকাতায় পেট্রোলের দাম হল ৯২ টাকা ১৬ পয়সা। ২৫ পয়সা বেড়ে কলকাতায় লিটারপ্রতি ডিজেলের দাম হয় ৮৫ টাকা ৪৫ পয়সা। তার আগে মঙ্গলবার কলকাতায় লিটার প্রতি ২৬ পয়সা বেড়ে পেট্রোলের দাম হয়েছিল ৯১ টাকা ৯২ পয়সা। ৩০ পয়সা বেড়ে লিটারপ্রতি ডিজেলের দাম হয়েছিল ৮৫ টাকা ২০ পয়সা।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ, অসম, কেরল, তামিলনাড়ু সহ পুদুচেরিতে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর একদিন পর ২৭ ফেব্রুয়ারি পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বেড়েছিল। এরপর দুই মাসের বিরতির পর ফের বাড়তে শুরু করেছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম।
উল্লেখ্য, স্থানীয় কর ও পরিবহণ খরচ অনুসারে দেশের বিভিন্ন স্থানে পেট্রোল ও ডিজেলের দামে ফারাক হয়ে থাকে। গত ১৫ এপ্রিল তেল কোম্পানিগুলি পেট্রোল ও ডিজেলের দাম সামান্য কমিয়েছিল। এরপর আর মূল্য সংশোধন করা হয়নি। ওই সময় পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন চলছিল।
ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর তেল কোম্পানিগুলি পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল। কারণ, ওই সময় আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম দ্রুত বাড়ছিল। আমেরিকায় চাহিদার কারণে অপরিশোধিত তেলের দামে এই বৃদ্ধি।
করোনা পরিস্থিতির জেরে আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে দেশ। বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। তার ওপর পেট্রোল-ডিজেলের এইভাবে দাম বেড়ে চলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এর ফলে সাধারণ মানুষের ওপর আর্থিক বোঝা আরও বাড়ার সম্ভাবনা।