Kolkata Municipality Vote: কলকাতায় সব ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
সব স্ট্রং রুমেও সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। কমিশনের সম্মতিক্রমে এই নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাঝির মামলার প্রেক্ষিতে নির্দেশ হাইকোর্টের।
কলকাতা: কলকাতায় (Kolkata) সব ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata Highcourt) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সব স্ট্রং রুমেও সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট (Kolkata Highcourt) । কমিশনের (State Election Commission) সম্মতিক্রমে এই নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাঝির মামলার প্রেক্ষিতে নির্দেশ হাইকোর্টের। উল্লেখ্য, কলকাতা পুরভোটে মূল ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ৪ হাজার ৮৪২। কলকাতা পুরভোটে অতিরিক্ত ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ৩৬৫। এই সমস্ত কেন্দ্রেই সিসি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে খবর, সব বুথে সিসি ক্যামেরা বসানোর দাবিতে মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাঝি। সেই মামলার সূত্রেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সম্মতিতে এই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করল বিজেপি। আজ দুপুর দু’টোয় মামলার শুনানি।
অন্যদিকে কিছুদিন আগে সূত্রের খবর ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, রাজ্য-কলকাতা পুলিশ দিয়েই পুরভোট হবে। ‘রাজ্যের ৩২ হাজার পুলিশ দিয়ে কলকাতা পুরসভায় ভোট সম্পন্ন হবে। পুরভোটের নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের আরও খবর, ‘পুরভোটে মোতায়েন করা হবে ২৭ হাজার কলকাতা পুলিশ। পুরভোটে মোতায়েন করা হবে ৫ হাজার রাজ্য পুলিশ। কলকাতা পুরভোটের সুরক্ষায় থাকবে না কোনও সিভিক ভলান্টিয়ার।’
পুরভোটের নিরাপত্তা নিয়ে কমিশনকে পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সোমবার পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বৈঠক হবে বলে খবর।উল্লেখ্য, বিজেপি ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পুরভোটের দাবি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভায় ভোট। বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ১৯ ডিসেম্বর ভোট হবে কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডে। করোনা পরিস্থিতিতে উপনির্বাচনের পর আবার পুরভোট। অতিমারীর কথা ভাবে কী নিয়ম মেনে চলতে হবে, তা সাংবাদিক বৈঠকেই জানিয়ে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বলা হল -
- করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সন্ধে ৭ টা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত বড় জনসভা করা যাবে না।
- সায়লেন্স পিরিয়ড হবে ভোটের ৭২ ঘণ্টা আগের থেকে।
- ছোট মিটিংয়ে জোর
- বড় মিটিং করতে গেলে বড় জায়গায় করতে হবে ।
- জেলাশাসক ও পুলিশ অথরিটি নজর রাখবে।
- মনোনয়ন জমা দিতে প্রার্থীর সঙ্গে যেতে পারবেন ২ জন।
- অনলাইনে মনোনয়ন জমা করা যাবে না।
- ডোর টু ডোর প্রচারে যেতে পারবেন সর্বাধিক ৫ জন।
- সন্ধে ৭ থেকে সকাল ১০ পর্যন্ত করা যাবে না বড় জনসভা।
- চালু হল ইলেকশন গ্রিভান্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।
- অভিযোগকারীরা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে পারবেন ।
- করোনা পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন করানোর ক্ষেত্রে ইলেকশন কমিশন যে নিয়ম জারি করেছিল, সেই নিয়মেই হবে পুরভোট।