Lorry Accident: মত্ত চালকের বেপরোয়া গতি, স্কুলছাত্রীকে পিষে দিল লরি
১০ বছরের শিশুকন্যাকে পিষে দিল বেপরোয়া লরি!
কলকাতা: তারাতলায় বেপরোয়া গতিতে স্কুলছাত্রীকে পিষে দিল লরি। ঘাতক লরির চালক ও খালাসিকে বেধড়ক মার স্থানীয় বাসিন্দাদের। পুলিশ সূত্রের খবর, ২ জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাড়ির কাছেই ১০ বছরের শিশুকন্যাকে পিষে দিল বেপরোয়া লরি!বুধবার বিকেলে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে তারাতলা থানার ঘোড়াগাছায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতার নাম সঞ্জনা দাস, ক্লাস থ্রি-র ছাত্রী ছিল সে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বুধবার বিকেলে সাইকেল নিয়ে বড় রাস্তায় চলে আসে সঞ্জনা। আচমকাই দুরন্ত গতিতে আসা একটি লরি তাকে পিষে দেয়!
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ইট বোঝাই লরি তারাতলার দিকে দুরন্ত, চালক ও খালাসি মত্ত অবস্থায় ছিল। দুর্ঘটনার পরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ঘাতক গাড়ির চালক ও খালাসিকে বেধড়ক মারধর করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিছুক্ষণ পরেই তারাতলা থানা ও সাউথ ওয়েস্ট ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘাতক গাড়ির চালক ও খালাসিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে, উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় ২ গাড়ি আরোহীর মৃত্যু হয়েচে। সাইকেল চালাতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি। মঙ্গলবার রাতে উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় বাস ও গাড়ির সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ২ জনের। আহত হয়েছেন আরও ৩ জন।
গতকাল রাত ১০টা নাগাদ ডালখোলার বস্তাডাঙি এলাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। ডালখোলা থেকে গাড়িতে কিষাণগঞ্জে যাচ্ছিলেন যাত্রীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা আহতের উদ্ধার করেন। বর্তমানে তাঁরা রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ডালখোলা থানার পুলিশ। পুলিশ মৃত দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত দুই ব্যক্তির নাম মহম্মদ রমজান ও মহম্মদ লাদেন। দুজনেই ডালখোলা পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের লাহাসারার বাসিন্দা। বাসটি ভুল লেন ধরে আসায় দুর্ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। বাসচালককে আটক করেছে ডালখোলা থানার পুলিশ।
রবিবার, পাশের জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরের দৌলতপুরে বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক যুবকের। গুরুতর আহত হন আরও একজন। দুর্ঘটনাটি ঘটে, রবিবার সকাল সাড়ে নটা নাগাদ, মালদা-বালুরঘাট ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কে।
১৫ অগাস্টের জন্য নাকা চেকিং চলছিল বংশীহারি থানার দৌলতপুর এলাকায়। পাথারঘাটা থেকে দৌলতপুরের দিকে বাইকে আসছিলেন দুই যুবক। দূর থেকে পুলিশ দেখেই বাইক আরোহী যুবক ইউটার্ন নিয়ে পালাতে গেলে উল্টো দিক থেকে আসা লরির সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
বাইকটি লরির নীচে ঢুকে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অর্জুন বাস্কে নামে এক যুবকের। আহত আরও এক বাইক আরোহী। ঘটনার পরই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ তুলে, ক্ষোভে ফেটে পড় উত্তেজিত জনতা। ঘটনাস্থলে শুরু হয় অবরোধ।