Tiljala trafficking News Update: 'পাচারের' চেষ্টা? হাতবাঁধা অবস্থায় মোটরবাইকে নিয়ে যাওয়ার সময়ে উদ্ধার দুই কিশোরী
দুই কিশোরীকে কাঁদতে দেখে সন্দেহ হয় তিলজলা ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ কর্মীদের। ধাওয়া করে উত্তর পঞ্চান্ন গ্রামের কাছে বাইক থামায় পুলিশ। বাইক চালক নিজের মেয়ে বলে জানালেও, দুই কিশোরী তা অস্বীকার করে।
পার্থপ্রতিম ঘোষ ও হিন্দোল দে, কলকাতা: দুই কিশোরীকে হাতবাঁধা অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল মোটরবাইকে। শনিবার সকালের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, দুই কিশোরীকে কাঁদতে দেখে সন্দেহ হয় তিলজলা ট্রাফিক গার্ডের (Tiljala Traffic Guard) পুলিশ কর্মীদের। ধাওয়া করে উত্তর পঞ্চান্ন গ্রামের (North 55 Gram) কাছে বাইক থামায় পুলিশ। বাইক চালক নিজের মেয়ে বলে জানালেও, দুই কিশোরী তা অস্বীকার করে। তারা জানায়, ট্যাংরা থেকে তাদের জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ট্রাফিক গার্ডের কাছ থেকে খবর পেয়ে দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে ওই ব্যক্তিকে আটক করে তিলজলা থানার পুলিশ।
দিনে দুপুরে শহরে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। মোটরবাইকে করে নিয়ে যাওয়ার পথে হাতবাঁধা অবস্থায় উদ্ধার দুই কিশোরী। হাত বেঁধে কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাদেরকে? বাইক চালকের সঙ্গে সম্পর্ক কী? পাচার, না কি অন্য কোনও উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? দানা বাঁধছে রহস্য।
শনিবার তখন বেলা ১২টা। পুলিশ সূত্রে খবর, তিলজলা ট্রাফিক গার্ডের ওসির চোখে পড়ে, সায়েন্স সিটির দিক থেকে ইএম বাইপাস ধরে রুবির দিকে প্রচণ্ড গতিতে যাচ্ছে একটি মোটরবাইক। চালকের পিছনে বসে দু’জন কিশোরী। তাদের হাত বাঁধা।
সন্দেহ হওয়ায় তিলজলা ট্রাফিক গার্ডের ওসি ওয়াকিটকিতে অন্য পুলিশ কর্মীদের খবর দেন। পঞ্চান্ন গ্রামের কাছে মোটরবাইক থামিয়ে দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু এরপরেও চমক। পুলিশ সূত্রে খবর মোটরবাইক আরোহী দাবি করেন, তিনি দুই কিশোরীর বাবা। কিন্তু দুই কিশোরী জানায়, ওই ব্যক্তি তাদের বাবা নন।
এরপর পুলিশ তিনজনকেই তিলজলা থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে দাবি, ট্যাংরায় দিদিমার বাড়িতে থাকত কিশোরীরা। মল্লিকপুরে তাদের মায়ের কাছে নিয়ে যাচ্ছিল ওই ব্যক্তি। তাদের মায়ের সঙ্গে বাবার বেশ কয়েক বছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে।
যে ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে, তাঁর সঙ্গে দুই কিশোরীর মায়ের সম্পর্ক কী, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। কিশোরীদের মাকেও ডেকে আনা হয় থানায়। ১৩ ও ১৫ বছরের দুই নাবালিকাকে শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ।