South Dumdum: চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে
আজ সকালে একাধিক জায়গায় ওই পোস্টার স্থানীয়দের চোখে পড়ে।
জয়ন্ত পাল: দক্ষিণ দমদম (South Dumdum) পুরসভার (Municipality) তৃণমূলের (TMC) এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে টেট এ চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পোস্টার পড়ল। আজ সকালে একাধিক জায়গায় ওই পোস্টার স্থানীয়দের চোখে পড়ে। পোস্টারে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বরুণ নন্দীর বিরুদ্ধে। এমনকী তাঁর ওয়ার্ড অফিসেও পড়েছে পোস্টার। তৃণমূল কাউন্সিলর যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, কেউ বা কারা ষড়যন্ত্র করে ওই পোস্টার দিয়েছে। যদিও পোস্টারের নীচে কারও নাম নেই।
কোটি টাকার প্রতারণা: এর আগে আলিপুরদুয়ারেও প্রাথমিক স্কুলে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা অভিযোগ ওঠে। কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বাবার বিরুদ্ধে। চাকরি না মেলায় অভিযুক্তের বাড়িতে বিক্ষোভ দেখালেন চাকরিপ্রার্থী ও তাঁদের পরিজনরা। কলকাতার এক ব্যক্তি তাঁর মাধ্যমে অনেকের থেকে টাকা নিয়েছেন। স্বীকারোক্তি অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর।
আলিপুরেও প্রতারণা: স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দু’টি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি টাকা ও বিপুল সোনা। যখন গোটা দেশের নজর এই খবরের দিকে তখনই পরপর তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতির খবর প্রকাশ্যে এসেছে। দক্ষিণ দমদমের আগে আলিপুরদুয়ারে প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার নামে, কোটি কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠল, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বাবার বিরুদ্ধে।
চাকরি না মেলায় টাকা ফেরতের দাবিতে, শুক্রবার শোভাগঞ্জে অভিযুক্তের বাড়ির সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থী ও তাঁদের পরিজনেরা। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী কাজল দাসের ছেলে ভাস্কর দাস হলেন চাপড়ের পার ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য।
গ্রাফিক্স আউট
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, ২০১৬ সালে প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা তুলেছিলেন তৃণমূল কর্মী। কিন্তু একজনও চাকরি পাননি। এমনকী টাকা ফেরত চাইলে, হুমকি
দুর্নীতির টাকা কলকাতায় এসেছে? উল্টোদিকে আবার অভিযুক্তের দাবি, তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। কলকাতার এক বাসিন্দা চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর মাধ্যমে, ৫০ থেকে ৬০ জনের থেকে ১ কোটি ২১ লক্ষ টাকা তুলেছেন। এই ঘটনা সামনে আসতেই, তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিজেপি। যদিও রাজ্যের শাসকদলের সাফাই, কেউ দোষী প্রমাণিত হলে দল ব্যবস্থা নেবে। তাহলে কি আলিপুরদুয়ারে স্কুলে নিয়োগে দুর্নীতির টাকা কলকাতায় এসেছে? অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে কি উদ্ধার হয়েছে সেই টাকাও? জোরাল হচ্ছে প্রশ্নগুলি।