করোনা আবহে পাঠ্যক্রমে কাটছাঁট, সিলেবাস থেকে বাদ বিবেকানন্দ, প্রবন্ধ থেকে বাদ নজরুলের কবিতা
জানানো হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: রাজ্যের সিলেবাস থেকে বাদ বিবেকানন্দ। প্রবন্ধ থেকে বাদ নজরুলের কবিতা। ইতিহাসের সিলেবাসে বাদ ‘ধর্ম'। করোনা আবহে পাঠ্যক্রমে কাটছাঁট করা হয়েছে। ২০২২ সালের একাদশের বার্ষিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সিলেবাসে কাটছাঁট করা হল। আর তার জেরেই বাদ গেল ঔপনিবেশিকতাবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে বাদ হওয়া পাঠ্যসূচির তালিকা। আজই ২০২২ সালের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। জানানো হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সিলেবাসে ঢুকেছে রামায়ণ, মহাভারত, রামচরিত মানস। রামচন্দ্রের চরিত্র ও তাঁর সমসাময়িক কাজ এখনকার ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের পক্ষে খুব প্রয়োজনীয়, দাবি উচ্চ-শিক্ষামন্ত্রী মোহন যাদবের। পাশাপাশি এমবিবিএসের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে কেশব বলিরাম হেগড়ে থেকে শুরু করে দিনদয়াল উপাধ্যায়ের জীবনী, জানান মধ্যপ্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী বিশ্বাস সারং।
পাশাপাশি, পুজোর ছুটির পর, রাজ্যে স্কুল খোলার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সরকার। স্কুল মেরামতির জন্য প্রায় একশো দশ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, কালীপুজোর আগে স্কুলগুলিকে পঠনপাঠনের উপযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেড় বছর পার। করোনাকালে এখনও বন্ধ স্কুল। স্কুলের বেঞ্চে পাশাপাশি বসা নেই! বন্ধুদের সঙ্গে খুনসুটি নেই! টিফিন ভাগ করে খাওয়া নেই! গৃহবন্দি জীবন।
রাজ্য সরকারের তরফে পুজোর ছুটির পর সেই স্কুল খোলার তৎপরতা শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৬ হাজার ৪৬৮টি স্কুল মেরামতির জন্য ১০৯ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্তে, খুশির হাওয়া স্কুলগুলিতে।
গত বছরের, ১৪ই মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে স্কুলে সশরীরে পঠনপাঠন। দীর্ঘদিন ক্লাসরুম বন্ধ থাকার ফলে, অনেক ক্ষতি হয়েছে। কখনও আমফান, কখনও বন্যা, এ’সবের ফলে অনেক ক্ষতি হয়েছে স্কুলের। আবেদনের ভিত্তিতে এবার স্কুল মেরামতির জন্য টাকা বরাদ্দ করল সরকার। স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, সব জেলা শাসককে কালীপুজোর আগে সমস্ত স্কুল মেরামত করে পঠনপাঠনের উপযুক্ত করতে বলা হয়েছে। এর আগেই, পুজোর পর স্কুল খোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে নবম, দশম একাদশ ও দ্বাদশ অর্থাৎ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পঠনপাঠন শুরু করতে চাইছে সরকার। ইতিমধ্যেই, এই চারটি ক্লাসের পড়ুয়াদের ভ্যাকসিনেশনের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে, স্কুলগুলিকে আধার কার্ডের নম্বর সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।