Landslide Maharashtra: মধ্যরাতে ভয়ঙ্কর ভূমিধসে তলিয়ে গেল গোটা গ্রাম! ঘুমের মধ্যেই মর্মান্তিক মৃত্যু
Raigad Landslide: মধ্যরাতে দুর্ঘটনার পর উদ্ধার অভিযান চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। এখন পর্যন্ত পাঁচ থেকে ছ' জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মুম্বই: মধ্যরাতে সকলের চোখে তখন শান্তির ঘুম। কিন্তু সেই ঘুমই যে চিরতরের হতে চলেছে তা কি স্বপ্নেও ভেবেছিলেন কেউ! মহারাষ্ট্রের (Maharashtra Landslide) রায়গড় জেলার খালাপুর তহসিলের ইরশালওয়াদি গ্রাম মধ্যরাতে ভূমিধসে তলিয়ে যায়। মহারাষ্ট্র সরকারের (Maharashtra Government) তরফে জানান হয়েছে এখনও ধ্বংসস্তূপে ১২০ জনেরও বেশি লোক আটকে থাকার আশঙ্কা করছে তারা।
মধ্যরাতে দুর্ঘটনার পর উদ্ধার অভিযান চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। এখন পর্যন্ত পাঁচ থেকে ছ' জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মৃত্যু সংখ্যাও আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ধ্বংসস্তূপে ১২০ জনেরও বেশি লোক আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ২৭ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, গ্রামের ৯০ শতাংশ এলাকা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে। এখানে ৩০ থেকে ৩৫টি আদিবাসী বাড়ির একটি বড় বসতি ছিল। দুর্ঘটনায় ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে তাই। এখন পর্যন্ত উদ্ধারকারী দল এক নারী ও দুই শিশুকে উদ্ধার করতে পেরেছে। ভূমিধসে সব মাটির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকর্মীরাও বিপাকে পড়েছেন উদ্ধার করতে গিয়ে।
#WATCH | Maharashtra: Rescue operation underway by NDRF after a landslide occurred in Irshalwadi village of Khalapur tehsil of Raigad district.
— ANI (@ANI) July 20, 2023
According to the Raigad police, four people have died and three others have been injured. pic.twitter.com/z14SKMjyuK
চিকিৎসা সহায়তা এবং উদ্ধার অভিযানের জন্য বিশেষ দলও গঠন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে চারটি অ্যাম্বুলেন্স। প্রয়োজনে আরও অ্যাম্বুলেন্স যাওয়ার কথা রয়েছে। আইয়ুব তাম্বোলি এবং তার প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং বেশ কয়েকটি সামাজিক কাজের সাহায্যকারী দল এবং উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
দুর্ঘটনার পর কিছু মানুষ ভয় পেয়ে জঙ্গলের দিকে ছুটে যায় বলে জানা গেছে। উদ্ধারকারী দলের একজন সদস্য বলেছেন, জঙ্গল থেকে সেই সকল ব্যক্তিরা ফিরে আসার পরই আমরা এই ভূমিধসের নিচে কত মানুষ আটকে থাকতে পারে সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাব।