Ayurveda Day: লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে আয়ুর্বেদ দিবস পালন, শতাব্দী প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা
London High Commission of India celebrated Ayurveda Day: 'ইন্টিগ্রেটিভ মেডিসিনে' আয়ুর্বেদের কী ভূমিকা রয়েছে তা নিয়ে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সৌমিক সাহা, লন্ডন: ভারতে (India) প্রতিবছরই ২৩ অক্টোবর আয়ুর্বেদ দিবস (Ayurveda Day) পালন করে আয়ুষ মন্ত্রক। যার প্রধান উদ্দেশ্য হল আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতি, এর উপকারিতা সম্পর্কে দেশে এবং সারা বিশ্বে সকলকে সচেতন করে তোলা।
এই প্রেক্ষাপটে ২৪ নভেম্বর লন্ডনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসে পালিত হল আয়ুর্বেদিক দিবস। আর্ট অফ হেলথের সঙ্গে যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। লন্ডনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর বক্তব্যর মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। তিনি বলেন, কীভাবে অ্যালোপ্যাথির যুগেও এই বহু শতাব্দীপ্রাচীন আয়ুর্বেদ জীবনযাপনের ক্ষেত্রে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
এছাড়াও 'ইন্টিগ্রেটিভ মেডিসিনে' আয়ুর্বেদের কী ভূমিকা রয়েছে তা নিয়ে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ এবং রোগ নিয়ন্ত্রণের আঙ্গিক থেকে এই আলোচনা সভার আলোচনাটি হয়। ডক্টর বিজয় মূর্তি, ডক্টর সেরাসিঙ্গে, ডক্টর রাকেশ উপ্পল এবং ডক্টর পপি ম্যালিনসন, প্রফেসর হেলেন ল্যাম্বার্ট এবং ডক্টর অমরজিৎ ভামরার মতো গবেষকরাও এই আলোচনার সভার প্যানেলের অংশ ছিলেন। আর্ট অফ হেলথের প্রতিষ্ঠাতা মিসেস রীতিকা পাটনি এই সভাটির সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন।
এই আলোচনা ছাড়াও একটি মতামত বিনিময়ের সেশনও রাখা হয়েছিল সকলের জন্য। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি 'হর ঘর হর আয়ুর্বেদ' থিম চালু করেছেন ভারতে। সেই বিষয়টির ওপর জোর দিয়েও কীভাবে স্বাস্থ্যকর উপায়ে জীবনযাত্রা উন্নীত করা যায় সে বিষয়টিও উঠে আসে এই আলোচনায়। পাশাপাশি বাজরার মতো দ্রব্য থেকে কতটা পুষ্টি পাওয়া যায়, এই শস্যটি স্বাস্থ্যর জন্য কতটা উপকারী, তা নিয়েও বিচার বিশ্লেষণ করেন গবেষকরা।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ের বেশ কিছু গবেষণা থেকে জানা যায় গত কয়েক বছরে, বিশেষ করে করোনার সময়ে শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশেও আয়ুর্বেদ নিয়ে কৌতূহল বেড়েছে। করোনার সময়কালে, আয়ুর্বেদ ওষুধগুলি শরীরকে মূলত সুস্থ করতে এবং সংক্রমণের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অত্যন্ত সফল বলে বিবেচিত হয়েছিল বলে বেশ কিছু গবেষণা পত্রে দাবি করা হয়। আয়ুর্বেদিক ওষুধের ব্যবহার বিদেশেও অনেক বেড়েছে বলে জানা যায় ওই রিপোর্টের পরিসংখ্যান থেকে। ফলে এই বিষয়ে অনেকেরই কৌতূহলও বেড়েছে ভারতের বাইরে। সেই প্রেক্ষাপটটি মাথায় রেখেও এই আলচনা সভায় উঠে আসে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিকও।
এছাড়াও এই আলোচনা শেষে একটি প্রশ্নোত্তর পর্বও রাখা হয়েছিল উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের জন্য। সেখানে আয়ুর্বেদের পাশাপাশি বাজরার নানা গুণাগুণ নিয়েও কথাবার্তা হয়।