Coromondel Train Accident: চারদিকে মৃত্যুমিছিল আর ধ্বংসস্তুপ, তারই মধ্যে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের কামরায় চলছে লুঠপাট
Train Accident: বলা হয়ে থাকে মানুষ উৎকৃষ্টতম প্রাণী। তবে সাম্প্রতিক কিছু ছবি তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। মানুষের দুর্দিনে যখন একদল মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। অন্যদল তখন নিজেদের কাজে ব্যস্ত।
ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: একদিকে স্বজন হারানোর হাহাকার। মৃতদেহের (Accident Death) স্তূপের মধ্যে প্রিয়জনকে খুঁজে বে়ড়াচ্ছেন বহু মানুষ। আরেকদিকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের কামরায় চলছে দেদার লুঠপাট (Robbery)। রেল পুলিশের (RPF) সামনেই হতভাগ্য যাত্রীদের জিনিসপত্র নিয়ে চলে যাচ্ছেন অনেকে। শুধু তাই নয়, রীতিমতো বাছাই করে লুঠ হচ্ছে। ট্রেনের পার্সেল ভ্যানে গুরুত্বপূর্ণ নথি থাকার কথা। সেখানেও নির্বিচারে চলছে লুঠপাট। প্রশ্ন উঠছে, রেলের নজরদারি নিয়ে।
অমানবিক রূপ: বলা হয়ে থাকে মানুষ উৎকৃষ্টতম প্রাণী। তবে সাম্প্রতিক কিছু ছবি তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। মানুষের দুর্দিনে যখন একদল মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। অন্যদল তখন নিজেদের কাজে ব্যস্ত। শুক্রবার অর্থাৎ ট্রেন দুর্ঘটনার দিনই এবিপি আনন্দের খবরের নিচে করা একটি কমেন্টের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয় স্যোশাল মিডিয়াতে। যেখানে কোনও এক পাঠক লিখেছেন, এই চূড়ান্ত পরিস্থিতির মধ্যেও নাকি দেদার লুঠপাঠ চলছে। যদিও এ ছবি নতুন নয়। এর আগেও একাধিক দুর্ঘটনার পর চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। মানুষের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে নিজেদের কার্যসিদ্ধি করেছেন একদল অসাধু মানুষ।
বারবার একই ছবি: গতকাল এবিপি আনন্দকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারেও এক যাত্রী জানিয়েছেন, শুক্রবারের দুর্ঘটনার পর যাত্রীরা যখন প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত, তখনই কামরায় চলছিল চুরি। যা নিয়ে কার্যত ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন যাত্রীরা। দুর্ঘটনার পর অনেকেই তাঁদের প্রয়োজনীয় জিনিস খুঁজে পাননি। এলোপাথারি ঝাকুনিকে হারিয়ে এদিক ওদিক চলে গিয়েছে বেশিরভাগেরই জিনিসপত্র। এরমধ্যেই চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর আগে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনাতেও এমন ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল।
বাড়ল মৃতের সংখ্যা: উল্লেখ্য শুক্রবার বালেশ্বর ৩টি ট্রেনের দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতর সংখ্যা হাজারের বেশি। পরিচয়হীন মৃতদেহের স্তূপ জমছে অস্থায়ী মর্গে। প্রিয়জনকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন বহু মানুষ। ১৬০ জনের দেহ শনাক্ত করা যায়নি। ভুবনেশ্বর এইমসে ১০০ জনের দেহ রাখা হয়েছে। পরিজনেদের কথা ভেবে মৃতদেহের ছবি তুলে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনাও সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে। ১৯৩ জনকে কটকে ওড়িশার মেডিক্যাল কলেজে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, ভুবনেশ্বর এইমস ব্যবস্থা করা সত্ত্বেও কেন আহতদের ওই হাসপাতালে পাঠানো হয়নি? দুর্ঘটনাস্থলে এখনও রয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি কামরা। সেগুলির মধ্যে আরও দেহ আটকে থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না উদ্ধারকারীরা। যদিও উদ্ধারকারী দলের দাবি, অধিকাংশ দেহ এবং যাত্রীদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত কামরাগুলি থেকে ৪৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে এনডিআরএফ।