Madhya Pradesh Assembly: করা যাবে না প্রতিবাদ, স্লোগানেও 'না', বিজেপি শাসিত রাজ্যের বিধানসভায় নয়া বিধি
Madhya Pradesh News: স্ট্যান্ডিং অর্ডার 94(2) অনুযায়ী, প্রতীকী জিনিসপত্র, মুখোশ, হর্ন নিয়ে কোনও বিক্ষোভ দেখানো যাবে না। করা যাবে না প্রতিবাদও।

নয়াদিল্লি: এবার বিজেপি শাসিত রাজ্যের বিধানসভায় জারি করা হল নয়া বিধি। মধ্যপ্রদেশের সচিবালয় সূত্রে খবর, কোনও জনপ্রতিনিধি বিধানসভার অন্দরে প্রতিবাদ করতে পারবেন না। দেওয়া যাবে না কোনও স্লোগানও। আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশন, তার আগে এই বিধি শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
গত কয়েকটি অধিবেশনে লাগাতার প্রতিবাদে সামিল হয়েছে কংগ্রেস। একজন বিধায়ক কালো মাস্ক পরে দাবি করেন, সরকার সাধারণ মানুষের প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে না। এমনকী চাকরির সঠিক শূন্যপদ সরকার প্রকাশ করছে না বলে নকল সাপ বিধানসভায় এনেও প্রতিবাদ করা হয়। দুর্নীতির রূপক হিসেবে কঙ্কালের পোশাক এবং সোনালি রঙের ইট ব্যবহার করা হয়। ঋণের পরিমাণ বোঝাতে ব্যবহার করা হয় চেন। BAP পার্টির এক বিধায়ক গাঁধী মূর্তির পাদদেশে অনশনও করেন।
স্ট্যান্ডিং অর্ডার 94(2) অনুযায়ী, প্রতীকী জিনিসপত্র, মুখোশ, হর্ন নিয়ে কোনও বিক্ষোভ দেখানো যাবে না। করা যাবে না প্রতিবাদও। বিধানসভাকে 'মৌন অঞ্চলে' পরিণত করা হচ্ছে। গোটা বিষয়ে সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হেমন্ত কাটারে বলেন, "সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলাও নিষিদ্ধ করেছে। সাধারণ মানুষ জানতে পারবে না। মহাত্মা গাঁধী এবং অম্বেদকরের স্লোগানেও ওদের আপত্তি। রাজ্যে কি জরুরি অবস্থা চলছে?'' ইতিমধ্যে স্পিকারকে এই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে জানিয়েছেন, তাঁর মনে হচ্ছে সরকারের চাপেই এই নীতি আনা হয়েছে। কংগ্রেস নেতা ড. গোবিন্দ সিংহ সতর্ক হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, বিধানসভার অন্দরে আওয়াজ তুলতে না পারলেও, বাকি সব জায়গায় পারবেন। প্রয়োজনে জেলেও। এই নির্দেশকে অসাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর আক্রমণ বলে উল্লেখ করেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী এবং প্রবীণ বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘাংঘোরিয়া। তিনি বলেন, "স্পিকার যদি বিরোধী দলে থাকাকালীন নিজের অভিজ্ঞতা ভুলে যান, তাহলে তাঁকে গণতন্ত্রের কথা মনে করিয়ে দিতে হবে।"
এই পদক্ষেপের পিছনে সরকারের যুক্তি "গণতন্ত্রের মর্যাদা" রক্ষা করা। বিরোধীদের বক্তব্য, ভিন্নমতই যে ভিন্নমত ছাড়া গণতন্ত্র অর্থহীন। বিরোধীদের মতে আগের বিক্ষোভগুলি নাটকের মতো মনে হলেও, তার উদ্দেশ্য ছিল জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। এই নির্দেশ প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক রামেশ্বর শর্মার যুক্তি, বিধানসভাটি গুরুতর সাংবিধানিক আলোচনার জন্য তৈরি, "কুস্তি এবং বিশৃঙ্খলার জন্য নয়। বিধানসভা কোনও থিয়েটার নয়।''






















