Madhya Pradesh Rewa: ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন ১৩ বছরের দাদার, অপরাধ ধামাচাপা দিতে সাহায্য মা ও দুই দিদির
MP Rewa Crime:মধ্যপ্রদেশের রেওয়ার জাওয়া থানার অন্তর্গত এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
ভোপাল: অপরাধমূলক কাজকর্মে নাবালকদের যোগদান লাগাতার বেড়ে চলেছে। গত বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নথিভুক্ত ৩০ হাজার ৫৫৫ অপরাধে নাবালকদের যুক্ত থাকার ঘটনা সামনে আসে। এবার মধ্যপ্রদেশ থেকে শিউড়ে ওঠার মতো ঘটনা সামনে এল। সেখানে ন'বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল তার নিজের ১৩ বছর বয়সি দাদার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, মা এবং বড় দুই দিদির সহযোগিতায় নাবালক ওই কিশোর অপরাধ ধামাচাপা দিয়ে রেখেছিল বলেও অভিযোগ। (Madhya Pradesh Rewa)
মধ্যপ্রদেশের রেওয়ার জাওয়া থানার অন্তর্গত এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। এবছর এপ্রিল মাসে ঘটনাটি ঘটে। প্রায় ৫০ জনকে জেরার পর সম্প্রতি অপরাধের পর্দাফাঁস করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, গত ২৪ এপ্রিল রাতে ছোট বোনের পাশে শুয়েছিল ১৩ বছরের ওই কিশোর। মোবাইলে পর্ন দেখার পর বোনকে ধর্ষণ করে সে। অত্য়াচারের শিকার হয়ে বাবাকে জানানোর কথা বলে মেয়েটি। তাতে তার শ্বাসরোধ করে ওই কিশোর। (MP Rewa Crime)
পুলিশ জানিয়েছে, এর পর মাকে ঘুম থেকে তোলে ওই কিশোর। কী ঘটেছে সব জানায়। ১৭ এবং ১৮ বছর বয়সি তার দুই দিদিও ঘুম ভেঙে জেগে ওঠে। কাছে গিয়ে দেখা যায়, ছোট মেয়েটির শরীরে তখনও প্রাণ রয়েছে। তাতে ফের শ্বাসরোধ করে মেয়েটিকে খুন করে ওই কিশোর। সকলে মিলে বাড়ির উঠোনে মেয়েটির দেহ পুঁতে ফেলে।
আরও পড়ুন: Governor Reshuffle: একাধিক রাজ্যে রাজ্যপাল বদল রাষ্ট্রপতির, কী হল পশ্চিমবঙ্গে?
পুলিশের কাছে পর দিন খবর পৌঁছয় মেয়েটি খুন হয়েছে বলে। প্রথমে পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, কোনও বিষাক্ত পোকা কামড়ে থাকবে মেয়েটিকে। কিন্তু ময়নাতদন্তে শারীরিক নির্যাতন এবং শ্বাসরোধের কথাও উঠে আসে। সেই নিয়ে জেরা করতে গেলে পরিবারের লোকজন রাতের ঘটনাবলী পাল্টে ফেলেন। মেয়েটি যে দাদার পাশে শুয়েছিল রাতে, সেকথা জানানো হয়নি পুলিশকে। বাইরে থেকে ঢুকে কেউ এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকবে বলে দাবি করা হয়। যদিও তদন্তে বাইরে থেকে কারও বাড়িতে প্রবেশ করার প্রমাণ পায়নি পুলিশ।
সেই থেকে তদন্ত চলছিল। গত কয়েক মাসে ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে জেরা করে পুলিশ। তাতে জানা যায়, প্রথমে এক প্রাইভেট ডাক্তারের কাছে মেয়েটির দেহ নিয়ে যায় পরিবার। তিনি ফিরিয়ে দিলে সরকারি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ডাক্তার ধর্ষণ এবং খুনের কথা জানান পুলিশকে। এর পর ফের জেরা করলে বয়ান বদল করতে থাকেন পরিবারের লোকজন। চাপ দিলে এক এক করে অপরাধ স্বীকার করেন সকলে। অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে, আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে রেওয়ার পুলিশ সুপার বিবেক সিংহ জানিয়েছেন, বাড়ির উঠোন থেকে মেয়েটির দেহ উদ্ধার করা হয়। ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় তাকে। গোড়া থেকে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিলেন পরিবারের লোকজন। চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত অপরাধ স্বীকার করেন।