এক্সপ্লোর
Advertisement
সদ্যভূমিষ্ঠের আচমকা শ্বাসকষ্ট, নিজের টু হুইলারেই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে বাঁচালেন মহারাষ্ট্রের ডাক্তার
বাচ্চাটির সেই মূহূর্তেই নিওনাটাল কেয়ারের ভীষণ দরকার ছিল। কিন্তু লকডাউনের জন্য় রাস্তাঘাট থেকে গাড়িঘোড়া সব উধাও। শেষ পর্যন্ত ওই ডাক্তারের টু-হুইলারেই দেড় কিমি দূরে তাঁর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মুম্বই: লকডাউনের মধ্যে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় নিজের টু-হুইলারে করে সদ্যোজাত বাচ্চাকে নিওনাটাল ফেসিলিটি অর্থাত সবে ভূমিষ্ঠ হওয়া বাচ্চাদের জন্য নির্ধারিত হাসপাতালে সময়মতো নিয়ে গিয়ে তার জীবন বাঁচালেন মহারাষ্ট্র্রের আলিবাগের এক ডাক্তার। বাচ্চাটির জন্মের কিছুক্ষণ পরই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দিয়েছিল।
শুক্রবার ভোরে প্রসববেদনা শুরু হয় বাচ্চাটির মা, আলিবাগের বাসিন্দা শ্বেতা পাটিলের। স্বামী কেতন কোভিড-১৯ রুখতে বহাল থাকা লকডাউনের মধ্যেই শ্বেতাকে কাছের এক নার্সিংহোমে নিয়ে যান। এই দম্পতির প্রথম সন্তান জন্মের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মারা গিয়েছিল। তাই এবার যাতে সঠিক সময়মতো চিকিৎসা, সেবাযত্ন হয়, তার বিশেষ দরকার ছিল।
কেতন জানান, শ্বেতা ডায়াবেটিক, তাই সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সঙ্গে সঙ্গে ওষুধ চালু হয়। শ্বেতার পুরানো হিস্ট্রি মাথায় রেখে যে স্থানীয় স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ প্রথম বাচ্চাটিকে ভূমিষ্ঠ করিয়েছিলেন, তিনি এক্ষেত্রে সহায়তার জন্য নিউনাটোলজিস্ট ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ রাজেন্দ্র চন্দ্রোকরকে ডেকে আনেন। সি-সেকশন করানো হয় শ্বেতার। ৩.১ কেজি ওজনের একটি পুত্রসন্তান জন্মায়। তখন সব স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। আচমকা নবজাতকের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, সারা শরীর নীল হয়ে যায়।
ডঃ চন্দ্রোকর বলেন, পরীক্ষা করে দেখা যায়, ওর ট্রানসিয়েন্ট ট্য়াচিপনিয়া (টিটিএন) হয়েছে, যা সদ্য়োজাতদের হয়। বাচ্চাটির সেই মূহূর্তেই নিওনাটাল কেয়ারের ভীষণ দরকার ছিল। কিন্তু লকডাউনের জন্য় রাস্তাঘাট থেকে গাড়িঘোড়া সব উধাও। শেষ পর্যন্ত ওই ডাক্তারের টু-হুইলারেই দেড় কিমি দূরে তাঁর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডঃ চন্দ্রোকর বলেন, আমি বাচ্চাটাকে নিওনাটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এনআইসিইউ) ভর্তি করিয়ে অক্সিজেন সাপোর্ট দিই। ১২ ঘণ্টা বাদে ধীরে ধীরে ওর অবস্থা স্বাভাবিক হয়। আমার কাছে এটা ছিল এক অভিভূত হওয়ার মতো ব্যাপার। বাচ্চাটা আমার আঙুল আঁকড়ে ধরে ছিল পরীক্ষার সময়, আমি ওকে অভয় দিচ্ছিলাম, সব ঠিক আছে, তুমি শীঘ্রই সুস্থ হয়ে যাবে।
রোগীর প্রতি দায়িত্ব, কর্তব্যবোধ পালনে দায়বদ্ধ চিকিৎসকরা করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও তার জেরে চালু হওয়া লকডাউনে হাজারো সমস্যা, প্রতিকূলতা উপেক্ষা করেই দিনরাত কাজ করে চলেছেন। জরুরি পরিকাঠামা, প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জামের অভাবের মধ্যেই হাসিমুখে দায়িত্ব পালন করছেন তাঁরা।
আলিবাগের চিকিৎসা পরিষেবার বন্দোবস্ত নিয়ে ডঃ চন্দ্রোকর জানান, ভেন্টিলেটরের ঘাটতি আছে, অবস্থা সঙ্কটজনক, এমন রোগীদের প্রায়ই পাঠাতে হচ্ছে মুম্বইয়ে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
বিজ্ঞান
জেলার
Advertisement