Maharashtra News: সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারের সমালোচনা করলে আইনি পদক্ষেপ, সরকারি কর্মীদের জন্য বিজ্ঞপ্তি বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্রে
Devendra Fadnavis: মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা (শিন্ডে)-NCP (অজিত) জোট সরকার এই মুহূর্তে ক্ষমতায় রয়েছে।

নয়াদিল্লি: সরকারি চাকুরে হলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারি নীতি-নিয়মের সমালোচনা করা যাবে না। বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্রে নয়া নিয়ম চালু হল। সোমবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে রাজ্যে। রাজ্য হোক বা কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন সরকার, বর্তমান হোক বা অতীতের সরকার, কারও বিরুদ্ধেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু লেখা যাবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। (Maharashtra News)
মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা (শিন্ডে)-NCP (অজিত) জোট সরকার এই মুহূর্তে ক্ষমতায় রয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি-র দেবেন্দ্র ফড়নবীস। তাঁর সরকারের প্রশাসনিক দফতর ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মচারি, এমনকি যাঁরা ডেপুটেশনে রয়েছেন, চুক্তিভিত্তিক কর্মী যাঁরা, যাঁরা কোনও তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের হয়ে কাজ করছেন, সকলের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম কার্যকর বলে জানানো হয়েছে। পঞ্চায়েত, পৌরসভা, বোর্ড, সরকার অধীনস্থ কোনও সংস্থার ক্ষেত্রেও এই নিয়ম কার্যকর। (Devendra Fadnavis)
মহারাষ্ট্র সরকারের যুক্তি, বর্তমানে ফেসবুক, X, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউবের মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলি মানুষের উপর প্রভাব ফেলছে। অনেক ক্ষেত্রে এর অপব্যবহারও হচ্ছে। সেকথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত। বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার বরদাস্ত করা হবে না। কোনও সরকারি কর্মী নিয়ম লঙ্ঘন করলে, সরকারি নীতি তথা রাজনৈতিক ঘটনা নিচে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেতিবাচক মন্তব্য করলে, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। এমন কিছু চোখে পড়লে, ১৯৭৯ সালের মহারাষ্ট্র সিভিল সেবা অনুশাসনের আওতায় আইনি পদক্ষেপ করা হবে সংশ্লিষ্ট কর্মীর বিরুদ্ধে।
Maharashtra's new social media policy bars govt employees from criticising policies of government in state and other dispensations. pic.twitter.com/f6wm8WxlqB
— Press Trust of India (@PTI_News) July 28, 2025
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু লেখার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে সরকারি কর্মীদের। দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। আপত্তিজনক, আপমানসূচক, ঘৃণাপূর্ণ কিছু পোস্ট করলে, কাউকে কিছু পাঠানো চলবে না। সরকারি নথি আংশিক ভাবেও প্রকাশ করা যাবে না, পাঠানো যাবে না কাউকে। অফিসিয়াল এবং ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট আলাদা রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, ব্যক্তিগত মতামত এবং কর্মক্ষেত্রের অবস্থানের মধ্যে যেন সংঘাত না দেখা দেয়। ইতিমধ্যেই যে সমস্ত ওয়েবসাইট, অ্যাপ এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেখানে কোনও রকম গতিবিধি বরদাস্ত করা হবে না। কোনও প্রকল্পের সাফল্য নিয়ে কিছু পোস্ট করলেও, তাতে নিজেকে কৃতিত্ব দেওয়া যাবে না কোনও ভাবে। কোনও কারণে যদি বদলি হতে হয়, তাহলে অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট হস্তান্তর করে যেতে হবে। ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে সরকারি পদের উল্লেখ করা যাবে না। ইউনিফর্ম, লোগো, সরকারি গাড়ি, বা সম্পত্তির ছবি, ভিডিও পোস্ট করাতেও নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে।
এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সরকারি কর্মচারিদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের উপর বিধি-নিষেধ চাপিয়ে, তাঁদের মুখবন্ধের চেষ্টা হচ্ছে বলে উঠছে অভিযোগ।























