Malda : চাঁচলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম জমা দেওয়ার হুড়োহুড়ি, নামল পুলিশ
ফের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম জমা দিতে মানুষের মধ্যে হুড়োহুড়ির ছবি দেখা গেল মালদার চাঁচলে। চাঁচল সিদ্ধেশ্বরী ইনস্টিটিউশনের ঘটনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় বাড়তি পুলিশ।
করুণাময় সিংহ, চাঁচল(মালদা) : দুয়ারে সরকারের "লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার"-এ আবেদন করতে এসে গতকাল ভিড়ের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এক মহিলা। তড়িঘড়ি তাঁকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম জমা দিতে মানুষের মধ্যে হুড়োহুড়ির ছবি দেখা গেল মালদার চাঁচলে। চাঁচল সিদ্ধেশ্বরী ইনস্টিটিউশনের ঘটনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় বাড়তি পুলিশ।
গতকাল চাঁচলে প্রথম দিনের দুয়ারে সরকার শিবিরে উপচে পড়ে ভিড়। অধিকাংশের মুখে ছিল না মাস্ক। রাজ্যের নয়া প্রকল্প 'লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার' ফর্মের জন্য দীর্ঘক্ষণ লাইন দাঁড়িয়ে থাকেন মহিলারা। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই সরকারি প্রকল্পের আবেদন চলে। প্রথম দিনে সোমবার মালদার চাঁচল-১ নং ব্লকের কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে শুরু হয় দুয়ারে সরকার শিবির। ভোর থেকেই ক্যাম্পে ভিড় জমান মহিলারা। তবে সকাল দশটায় শুরু হয় ফর্ম বিলির কাজ। গরমে হাঁসফাস করে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মহিলারা। গোটা ঘটনায় কার্যত স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় ওঠে।
লক্ষ্ণীর ভাণ্ডারে আবেদন করতে আসা এক মহিলা আনসেরা বিবি দাবি করেন, প্রতিটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বুথে বুথে এই শিবির করলে নাজেহাল হতে হত না। বাচ্চা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ গরমের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে। ফর্ম মিলবে কি না সন্দেহ।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রেখে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যে চালু হচ্ছে এই প্রকল্প। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনের পাশাপাশি, দুয়ারে সরকার প্রকল্পেও এজন্য আবেদন করা যাবে। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে জেনারেল ক্যাটেগরি পরিবারের কর্ত্রীকে মাসিক ৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতি পরিবারের কর্ত্রীকে প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ, যোগ্য জেনারেল কাস্ট পরিবার বছরে ৬ হাজার টাকা ও SC, ST এবং OBC পরিবার বছরে ১২ হাজার টাকা করে পাবে। এর ফলে উপকৃত হবেন ১ কোটি ৬০ লক্ষ মহিলা।