Khela Hobe Diwas: রাজ্যজুড়ে "খেলা হবে" দিবস পালন হবে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
"খেলা হবে"। এই স্লোগান তুলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে ঝড় তুলেছে তৃণমূল। এবার এই স্লোগানকে আরও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। এর পাশাপাশি বিধানসভায় জবাবি ভাষণে একহাত নেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে।
কলকাতা : ভোট পরবর্তী অশান্তি নিয়ে গতকালই নবান্নে রাজ্য পুলিশের ডিজি-র সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দুই প্রতিনিধি। ডিজি বীরেন্দ্রর সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টা বৈঠক করেন তাঁরা। এই আবহে এবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কড়া সমালোচনায় সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় জবাবি ভাষণে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও বিজেপির কড়া সমালোচনা করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তাঁর কাছে খবর আছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিজেপির সক্রিয় সদস্য হয়ে কাজ করছে। তাঁর আরও দাবি, যিনি মানবাধিকার কমিশনের দায়িত্বে আছেন, তিনি বিজেপির সক্রিয় সদস্য।
শুধু তাই নয়, একহাত নেন নির্বাচন কমিশনকেও। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন মদত না দিলে রাজ্যে বিজেপি ৩০টা আসনও পেত না। মোদি-অমিত শাহ-বিজেপি যা বলেছে, কমিশন সেইমতো কাজ করেছে।
যদিও বাংলা কোনও ধমকানি-চমকানিতে ভয় পায় না বলে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি শাসিত রাজ্যে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। মমতা জানান, বিধানসভা ভোট হয়েছিল ৮ দফায়, খেলা হবে স্লোগান দিয়ে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁর ঘোষণা, আগামী দিনে গোটা রাজ্যে খেলা হবে দিবস পালন হবে। কবে তা পালন হবে পরে জানানো হবে বিধানসভায়। জবাবি ভাষণে উল্লেখ মুখ্যমন্ত্রীর।
প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন পর্বে তৃণমূলের অন্যতম স্লোগান ছিল "খেলা হবে"। এই স্লোগান তুলে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উজ্জীবিত করে তোলে ঘাসফুল শিবির। এই স্লোগানের জেরে নির্বাচন কমিশনের শো-কজ নোটিশের মুখে পড়েন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। যদিও অনুব্রত বলেছিলেন, খেলা হবে বলে কী ভুল বলেছি। ক্রিকেট ব্যাট দিচ্ছি, ফুটবল দিচ্ছি, এগুলোও তো খেলা। এখনও বলছি খেলা হবে। নরেন্দ্র মোদি, নাড্ডা সাহেব তাঁরাও তো বলছেন খেলা হবে। অসুবিধা কোথায়। খেলা হবে।' উল্লেখ্য, এই স্লোগানের বিরোধিতা করে বিরোধীরা। কমিশনে নালিশও জানায়। গোটা নির্বাচন পর্বে এই স্লোগানকে হাতিয়ার করে প্রচার চালায় শাসকশিবির।