Mahabodhi Express: চলন্ত ট্রেনে জল গরম করতে বৈদ্যুতিক কেটলি চালালেন যাত্রী, তারপর কী পরিণতি হল?
গত শনিবারের ঘটনা, বছর ৩৬-এর এক যাত্রী মহাবোধি এক্সপ্রেসে চেপে গয়া থেকে নয়াদিল্লি যাচ্ছিলেন।
নয়াদিল্লি: দূরপাল্লার ট্রেন সফরকালীন চলন্ত ট্রেনের ভিতর মোবাইলের চার্জিং পয়েন্টে জল গরম করতে বৈদ্যুতিক কেটলি চালিয়েছিলেন এক যাত্রী। আর তাতেই ধুন্ধুমার বাঁধল। অভিযোগ পেয়েই সেই যাত্রীকে আটক করে রেল সুরক্ষা বাহিনী (RPF)।
গত শনিবারের ঘটনা, বছর ৩৬-এর এক যাত্রী মহাবোধি এক্সপ্রেসে চেপে গয়া থেকে নয়াদিল্লি যাচ্ছিলেন। জানা গিয়েছে তিনি লেহ্র বাসিন্দা। সে দিনই এ কাণ্ড ঘটান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে আরপিএফ এসে তাঁকে আটক করে। আরপিএফ সূত্রে খবর, এর পর তাঁকে আলিগড়ের একটি আদালতে পেশ করা হয়। নিরাপত্তাবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে রেলওয়ে আইনের ১৪৪ (১) ধারায় গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত যাত্রীকে। পাশাপাশি ওই যাত্রীকে ১০০০ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
একটি সংবাদ পত্রকে RPF রাজীব ভার্মা জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ব্যক্তি জানান, ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা ছিলেন ওই কোটেই। তিনিই ওষুধ খাওয়ার জন্য গরম জল খুঁজছিলেন। প্যান্ট্রির থেকে গরম জল চাইলেও তাঁরা দিতে হননি। সেই কারণে বৃদ্ধাকে সাহায্য করতে নিজেই জল গরম করতে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। আর তাতেই ধুন্ধুমার।
যথেষ্ট বিদ্যুৎ টানে ইলেক্ট্রিক কেটলি। চলন্ত ট্রেনের ভিতর উচ্চ ভোল্টেজের কেটলি প্লাগ তাই অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। ঘটতে পারে শর্ট সার্কিটও। ফলে কোচে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটে যেতে পারে এই কাজে। তাই খবর পাওয়া মাত্রই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে আরপিএফ। উল্লেখ্য, আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছিলেন দুই যাত্রী। তাঁরা যদিও জানিয়েছিলেন, তাঁদের ঠান্ডা লাগছিল সেই কারণেই এই কাজ।
এই ঘটনার ১০দিন আগেই ট্রেনে যাত্রার সময়ে আরও একটি ভয়াবহ কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন দুই যাত্রী। হাজার হাজার মানুষের জীবনকে বাজি রেখে ট্রেনেই বনফায়ার জ্বালিয়ে দেন তাঁরা। দিল্লি থেকে আসাম যাচ্ছিলেন তাঁরা। আলিগড় স্টেশন থেকে তাঁদেরকেও গ্রেফতার করা হয় এই ঘটনায়। জানা গিয়েছিল, এই দুই যাত্রী হরিয়ানার বাসিন্দা ছিলেন। শীত করার কারণে ট্রেনেই তাপ নিতে ঘুঁটে পুড়িয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা।