First Transgender Sub-Inspector : পদে পদে ছিল চ্যালেঞ্জ, সইতে হয়েছে অবমাননা; দেশের প্রথম রূপান্তরকামী মহিলা SI হলেন বিহারের মানবী
Bihar Police: মঙ্গলবার বিহার পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পদে পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে চূড়ান্ত তালিকায় দেখা যায় মানবী মধু কাশ্যপের নাম।
নয়াদিল্লি : বিহারের ভাগলপুরের ছোট গ্রাম থেকে স্বপ্নের উড়ান। ইতিহাস সৃষ্টি করলেন মানবী মধু কাশ্যপ। তিনি হলেন দেশের প্রথম রূপান্তরকারী সাব-ইন্সপেক্টর। তাঁর এই সাফল্য দেশের রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ে তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য হিসাবে উল্লেখ থাকবে। সাব-ইন্সপেক্টর পদে তিন রূপান্তরকামীকে নিয়োগ করেছে বিহার পুলিশ। মানবী মধু ছাড়া রয়েছেন দুই রূপান্তরকামী পুরুষ। Manvi Madhu Kashya
মঙ্গলবার বিহার পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পদে পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে চূড়ান্ত তালিকায় দেখা যায় মানবী মধু কাশ্যপের নাম। ফল প্রকাশিত হওয়ার পর নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি।
মানবী মধু বলেন, "আমি প্রচুর কষ্ট করেছি। তার যোগ্য ফল পেলাম। আমি নেতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারি এই বলে অন্য প্রতিষ্ঠান আমায় ভর্তি নেয়নি। আমি শিক্ষা চেয়েছিলাম। কিন্তু, সুযোগ পাচ্ছিলাম না। যখন এই প্রতিষ্ঠানে এলাম, আমার জীবনে উন্নতি হল। পরিবার সবসময় আমার পাশে থেকেছে। তাই, আজ আমি এখানে।"
#WATCH | Manvi Madhu Kashya, First transwoman Sub-Inspector says, " ...I have struggled a lot but now it's worth...other institutes denied me admission saying that the atmosphere there will get bad...I wanted education but I was not getting it but when I came to this institute,… pic.twitter.com/hAuC4N7yYk
— ANI (@ANI) July 10, 2024
মানবীর যাত্রাপথ-
নরেন্দ্র প্রসাদ সিং ও মালা দেবীর বড় সন্তান। পরিবাবের বড় সন্তান হওয়ায় তাঁর উপর দায়িত্বও থেকেছে বেশি। ছোট থেকে নিজের স্বপ্নপূরণে অবিচল ছিলেন মানবী। এসএস স্পনর্সড হাইস্কুল পাঞ্জওয়ারায় পড়াশোনা করেছেন। CND কলেজে দ্বাদশের পড়াশোনা। ২০১৮-২০২১ এর মধ্যে তিলকা মাঝি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ডিগ্রি অর্জন করেন।
কিন্তু, তাঁর সাফল্যের পথ বরাবরই চ্যালেঞ্জে পূর্ণ ছিল। মূলত এর কারণ, তিনি রূপান্তরকামী মহিলা ছিলেন। একাধিক বাধার, অবহেলার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু, কখনোই তাঁর দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মানসিকতায় চিড় ধরেনি। যতবার অবমাননার শিকার হয়েছেন, ততবার নতুন করে নিজের মানসিকতা আরও দৃঢ় করেছেন। করে গিয়েছেন পরিশ্রম। আর তার হাত ধরেই মিলেছে সাফল্য। বাবা-মা ছাড়াও, তাঁর এই সাফল্যের কৃতিত্ব তিনি দিয়েছেন একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।