UP hanuman chalisa mass recital : মঙ্গলে মহা-আয়োজন ! করোনা রুখতে গণ হনুমান চালিশা পাঠ উত্তরপ্রদেশে
করোনা মহামারী রুখতে এবার মহা-আয়োজনের পথে উত্তরপ্রদেশ। মঙ্গলবার গণ হনুমান চালিশা পাঠ হবে রাজ্যে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের উদ্যোগে কাশী প্রান্তে হবে এই অনুষ্ঠান। যেখানে অংশ নেবেন উত্তরপ্রদেশের ২৬ জেলার জনতা।
প্রয়াগরাজ : করোনা মহামারী রুখতে এবার মহা-আয়োজনের পথে উত্তরপ্রদেশ। মঙ্গলবার গণ হনুমান চালিশা পাঠ হবে রাজ্যে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের উদ্যোগে কাশী প্রান্তে হবে এই অনুষ্ঠান। যেখানে অংশ নেবেন উত্তরপ্রদেশের ২৬ জেলার জনতা।
এ প্রসঙ্গে আরএসএস-এর প্রচারক মুরারজি ত্রিপাঠি জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হবে এই অনুষ্ঠান। যাতে সাধু-সন্তরা ছাড়াও অংশ নেবেন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বরা। এই আয়োজন যোগ দেবেন শিল্পপতি, সামজসেবী ছাড়াও সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। মূলত, রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের 'কুটুম্ব প্রাবধান' কর্মসূচি মেনেই গণ হনুমান চালিশা পাঠের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাধু, সন্তদের বিশ্বাস, গণ হনুমান চালিশা পাঠের ফলে মহামারী রোখা যাবে।
এই বিশাল আয়োজনে উপস্থিতি থাকার কথা প্রয়াগ পৃথাদ্বিশ্বর জগৎ গুরু স্বামী বাসদেবানন্দ সরস্বতীর। এ ছাড়াও যোগ দেওয়ার কথা অখিল ভারতীয় আখাড়া পরিষদের সভাপতি নরেন্দ্র গিরির। করোনা মহামারী দূরীকরণে গণ হনুমান চালিশা পাঠের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্বামী জিতেন্দ্রনন্দজি, স্বামী কৈবল্য দাসজি ছাড়াও স্বামী বৃজ চৈতন্যজি মহারাজ।
আগামীকাল উত্তরপ্রদেশের এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ২৬ জেলার জনতা। প্রয়াগরাজ, বারাণসী, ভাদোই, মীরজাপুর, প্রতাপগড়, গাজিপুর, সৌনভদ্র, সুলতানপুর, অমেথি জেলার বহু হিন্দু পরিবার এই গণ হনুমান চালিশা পাঠে অংশ নেবেন। আরএসএস-এর তরফে জানানো হয়েছে, এই বিশাল আয়োজনে অনেকেই যোগ দিতে চান। সেই কারণে আরএসএস-এর কাশী প্রান্ত শাখা থেকে ৬টা ইউটিউব লিঙ্ক শেয়ার করা হবে। গণ হনুমান চালিশা পাঠে ইচ্ছুকরা এই লিঙ্কের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সঙ্গে নিজেদের জুড়তে পারবেন।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রচারকরা জানিয়েছেন, শুধু হনুমান চালিশা পাঠেই থেমে থাকবে না স্তুতি।এর সঙ্গে হনুমান চালিশা পাঠের আগে ও পরে ভক্তরা 'শ্রী রাম জয় রাম জয় জয় রাম' উচ্চারণ করবেন। এই প্রথমবার এরকম একটি বিশাল আকারে হনুমান চালিশা পাঠ হতে চলেছে। সম্প্রতি দেশের করোনা পরিস্থিতির জন্য জনতা ও সরকারকে দায়ী করেন আরএসএস প্রধান। তিনি বলেন, ''করোনার প্রথম ঢেউয়ের পর আমরা সবাই সংক্রমণের বিষয়টা অবহেলা করতে শুরু করি। জনগণ, সরকার ছাড়াও প্রশাসন সবাই জানতাম দ্বিতীয় ঢেউ আসছে। ডাক্তাররা আমাদের সতর্ক করেছিল। তাসত্ত্বেও আমরা অবহেলা করেছি।''