World News:অন্ধকারে পাকিস্তান! পাওয়ার গ্রিডে বিপর্যয়ের জের বিদ্যুৎ-বিভ্রাট ইসলামাবাদ-সহ সব বড় শহরে
Massive Power Cuts In Pakistan: আক্ষরিক অর্থেই অন্ধকারে ডুবে পাকিস্তান! পাওয়ার গ্রিডে বিপর্যয়ের জেরে ইসলামাবাদ-সহ প্রায় সব কটি বড় শহর বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। লক্ষাধিক মানুষ ভোগান্তির মুখে।
![World News:অন্ধকারে পাকিস্তান! পাওয়ার গ্রিডে বিপর্যয়ের জের বিদ্যুৎ-বিভ্রাট ইসলামাবাদ-সহ সব বড় শহরে Massive Power Cuts In Pakistan Leave Many Major Cities Without Electricity World News:অন্ধকারে পাকিস্তান! পাওয়ার গ্রিডে বিপর্যয়ের জের বিদ্যুৎ-বিভ্রাট ইসলামাবাদ-সহ সব বড় শহরে](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/01/23/f87ef57aaadcf6c0467766a0bf48c9c71674468225166482_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
ইসলামাবাদ: আক্ষরিক অর্থেই অন্ধকারে ডুবে পাকিস্তান (Pakistan Electricity Cut)! পাওয়ার গ্রিডে বিপর্যয়ের (power grid disaster in pakistan) জেরে ইসলামাবাদ-সহ প্রায় সব কটি বড় শহর বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন (major cities are without power since morning)। লক্ষাধিক মানুষ ভোগান্তির মুখে। গত তিন মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার এত বড় বিদ্যুৎ-বিপর্যয় সামলাতে হচ্ছে পাকিস্তানকে।
এখন কী ছবি?
পাক বিদ্যুৎমন্ত্রী খুররাম দস্তগির জানিয়েছেন, সিন্ধ প্রদেশের দক্ষিণ দিকে, জামশোরো এবং দাদু শহরের মাঝে কোথাও একটা পাওয়ার গ্রিডে ভোল্টেজের ওঠাপড়া হওয়ায় এই বিপর্যয় ঘটে। তার জেরে স্কুল, হাসপাতাল, কারখানা-সর্বত্র আঁধার নেমে আসে এদিন। যদিও বিদ্যুৎমন্ত্রী একে বড় ধরনের কোনও বিপর্যয় বলে মানতে চাননি। তাঁর কথায়, 'এটি মোটেও কোনও ভয়ঙ্কর বিপর্যয় নয়।' কিন্তু সোমবারের এই ঘটনায় রাজধানী ইসলামাবাদ তো বটেই, দক্ষিণের বন্দর-শহর করাচি থেকে পূর্বের লাহৌর, এমনকি উত্তরে পেশোয়ারের ব্যাপক এলাকাও ভোগান্তির মুখে পড়েছে। প্রশাসনের অবশ্য় দাবি, বহু জায়গায় এর মধ্য়েই বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরানো হয়েছে। বাকি অংশে অতি দ্রুত ফেরানো হবে। কিন্তু এক সঙ্গে এত বড় এলাকা বিপর্যয়ের মুখে পড়ল কেন? আপাতত এই প্রশ্নের সূত্রেই ফের সামনে পাক-অর্থনীতির ধসে পড়া চেহারাটি।
ধুঁকতে থাকা অর্থনীতি...
পাক অর্থনীতির অবস্থা যে শোচনীয়, তা আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনের একাংশের মতে, বেহাল আর্থিক দশার জেরেই মান্ধাতার আমলের বিদ্যুৎ পরিকাঠামোয় কোনও উন্নয়নের কাজ করা যাচ্ছে না। ফলে তিন মাসের মধ্যে কার্যত একই ধরনের দুটি বিপর্যয়। গত অক্টোবরে যে ঘটনা ঘটেছিল, তাতে বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরাতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় লেগে যায় বলে দাবি ভুক্তভোগীদের অনেকের। এর মধ্যে পেশোয়ারের বাসিন্দাদের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়ে কারণ পানীয় জলের জন্য বৈদ্যুতিন পাম্পের উপর ভরসা করা ছাড়া উপায় নেই। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় তীব্র জলকষ্টে কাটাতে হয়েছিল তাঁদের। হাসপাতালের জরুরি পরিষেবার জন্যও ব্যাক আপ জেনারেটরের উপর আস্থা রাখতে হয়েছিল। এবারও কি সেই ভয়াবহ পরিস্থিতিই ফিরে আসবে? সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনই সাতসকালে বিদ্যুৎ সংযোগ চলে যাওয়ায় অশনি সঙ্কেত দেখছেন সাধারণ মানুষ। পাক বিদ্যুৎ মন্ত্রক আপাতত 'সংস্কারের কাজ চলছে' বলেই দায় সেরেছে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)